>দেশের টেলিভিশন নাটকে ঘটনাবহুল ছিল গত বছর। তারই কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা দেওয়া হলো এখানে—
আটক হয়েছিলেন নওশাবা
ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত ৪ আগস্ট আটক হন টেলিভিশন ও বড় পর্দার অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। উত্তরায় শুটিং স্পট থেকে আটক করা হয় তাঁকে। জিগাতলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন নওশাবা। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান।
ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাচন
দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় টেলিভিশন নাট্য নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের। গত ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন অভিনেতা ও নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এস এ হক অলিক। আগামী দুই বছর নাট্য পরিচালকদের নেতৃত্ব দেবেন তাঁরা।
শ্রাবন্তীর বিচ্ছেদ
ছোট পর্দার অভিনেত্রী ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। সংসার করছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের
সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলমের সঙ্গে। দীর্ঘদিনের সংসার ভেঙেছে এ বছর। তালাকের নোটিশ পেয়ে দেশে এসে সংসার জোড়া লাগানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গত অক্টোবর আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন শ্রাবন্তী।
দলগত কাজ
২০১৭ সাল থেকেই নাট্য নির্মাতারা মিলে ঈদে দলগত কাজ শুরু করেন। গত বছর ‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’, ‘ছবিয়াল রি-ইউনিয়ন’, ‘অস্থির সময়ে স্বস্তির গল্প’সহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশ্বকাপ ফুটবলের কারণে এ বছর এমন উদ্যোগে একটু ভাটা পড়ে। তবে ঈদুল আজহায় ‘মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং ভাই ব্রাদার এক্সপ্রেস’ নামে একটি দলগত উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে আটজন নির্মাতা নির্মাণ করেন আটটি নাটক। সেগুলো প্রচারিত হয় চ্যানেল আইতে। নাটকগুলো নিয়ে দর্শকদের মধ্যে বাড়তি উচ্ছ্বাস দেখা যায়। এ ছাড়া দলগতভাবে ওয়েব নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে দেখা গেছে এ বছর।
অ্যালেন-সারিকা নিষিদ্ধ
এ বছর ছোট পর্দার দুই অভিনয়শিল্পী অ্যালেন শুভ্র ও সারিকাকে নিষিদ্ধ করে ডিরেক্টরস গিল্ডসহ টেলিভিশন নাটক নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলো। অ্যালেন শুভ্রর বিরুদ্ধে নাট্য পরিচালক নিয়াজ মাহবুবকে ইট দিয়ে আঘাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা গত ১০ মে থেকে কার্যকর করা হয়েছিল। তিন মাস পর অ্যালেন অভিনয়ে নিয়মিত হন। এদিকে ‘অশিল্পীসুলভ আচরণ’-এর জন্য অভিনয় শিল্পী সংঘের সদস্য সারিকা সাবরিনকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)। গত ১ আগস্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। গত ১০ এপ্রিল সারিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন প্রযোজক মোহাম্মদ বোরহান খান। পরে সারিকা ক্ষমা চাইলে শাস্তি বাতিল করা হয়। কাজে ফেরেন সারিকা।