শাকিব-অপুর বিরুদ্ধে 'ক্ষতিগ্রস্ত' প্রযোজকের চিঠি
এবারের অভিযোগটি শাকিব খান বা অপু বিশ্বাস একে অপরের বিরুদ্ধে তোলেননি। বরং তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন একজন প্রযোজক-শাকিব-অপু শিডিউল না দেওয়ার কারণে যার ছবি মাই ডার্লিং দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। মনিরুজ্জামান নামের ওই প্রযোজক তাঁর অভিযোগের চিঠি পাঠিয়েছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট তিনটি সমিতি বরাবর।
২০ মার্চ আলাদা আলাদাভাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতি বরাবর শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চিঠি পাঠান মনিরুজ্জামান। চিঠি দেওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পীদের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন। মনিরুজ্জামানের অভিযোগ, বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস তাঁর ছবি মাই ডার্লিং-এর কাজ সম্পন্ন করে দিচ্ছেন না।
চিঠিতে প্রযোজক মনিরুজ্জামান উল্লেখ করেছেন-২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর মাই ডার্লিং ছবিতে কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন শাকিব ও অপু। এই ছবি প্রযোজনা করেছে মনিরুজ্জামানের প্রতিষ্ঠান ‘ড্রাগন এন্টারটেইনমেন্ট’। মনতাজুর রহমান আকবরের পরিচালনায় ছবির শুটিং শুরু হয় ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি। ২০১৫ শুরুর দিকে ছবির ৭০ ভাগ কাজ শেষও হয়। এরপরই ছবিটির শুটিং আটকে যায়। মনিরুজ্জামানের ভাষায়, ‘শাকিব ও অপু নানান ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে শুটিং বিলম্বিত করতে থাকেন। একটা সময় শুটিং শেষ করে দেওয়ার কথা বলে চুক্তির বাইরেও শাকিব খানের দাবি করা আরও ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। তারপরও তাঁরা দুজন শিডিউল দেওয়ার অঙ্গীকার রাখেননি।’
অভিযোগে প্রযোজক লিখেছেন, ছবির শুটিং সম্পন্ন না হওয়ায় চরম আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।
এদিকে তিন সমিতিই চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বললেন, ‘আমরা প্রযোজকের অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। শিগগিরই সমিতির কার্যকরী পরিষদের মিটিংয়ে তোলা হবে বিষয়টি।’
এরই মধ্যে প্রযোজকের অভিযোগের এই চিঠির উত্তর দিয়েছে পরিচালিক সমিতি। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রযোজককে যেকোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত পরিচালক সমিতি।
যদি তিন সমিতি থেকে কোনো সুরাহার ব্যবস্থা না হয়, তাহলে কী পদক্ষেপ নেবেন? এ প্রশ্নের জবাবে প্রযোজক মনিরুজ্জমান বলেন, ‘যদি তিন সমিতির নেতারা দুজনকে ডেকে শুটিংয়ের শিডিউলের ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে তো ভালো। তা না হলে আদালতে যাব। কোনো উত্তর না পেলে মামলা করব।’
এই অভিযোগ নিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘না, কেউ যোগাযোগ করেননি আমার সঙ্গে। আমি এই অভিযোগের চিঠির ব্যাপারে কিছু জানি না। আপনার কাছ থেকে বিষয়টি জানলাম।’ তবে প্রযোজকের করা অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এখন শিডিউল নিয়ে আমার পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। সে সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম তাই দীর্ঘ বিরতিতে যেতে হয়েছিল আমাকে। ফলে কাজটি আটকে যায়। এ জন্য আমি দুঃখিত। এখন যেহেতু কাজ শুরু করছি, প্রযোজক যখনই চাইবেন তখনই কাজটি শেষ করে দিতে প্রস্তুত আমি।’
এ অভিযোগের ব্যাপারে জানতে গত বুধবার দুপুরে শাকিব খানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।