কাল বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ২০১৬। ২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলবে শাস্ত্রীয় সংগীতের এই আসর। এ উৎসবে সংগীত পরিবেশন করতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আসছেন একদল বিদেশি শিল্পী। তাঁদের অন্যতম সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। উৎসবের তৃতীয় রাতে শোনা যাবে তাঁর সেতার।
শুধু শিল্পীই নন, পণ্ডিত সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে গুরু ও প্রশিক্ষকও। বাবা পীযূষ প্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পণ্ডিত বিমলেন্দু মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত মানস চক্রবর্তী, ড. এম আর গৌতম এবং প্রখ্যাত সরোদ পণ্ডিত রাধিকামোহন মৈত্রের কাছে বিভিন্ন সময় তালিম নিয়েছেন তিনি। তাঁর যন্ত্রসংগীত পরিবেশনা যাঁরা শুনেছেন, তাঁরা জানেন বিশিষ্ট এই পণ্ডিতের সেতারের জাদুকরী সুরের কথা। ‘আর্টিস্ট ইন রেসিডেন্স’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ও কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। এখন আছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রসংগীত বিভাগে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ চেয়ার প্রফেসর পদে। এ ছাড়া পালন করছেন আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
শশাঙ্ক সুব্রামানিয়াম
শশাঙ্ক সুব্রামানিয়াম কর্ণাটকি সংগীতরীতির বংশীবাদক। বাবার কাছেই হাতেখড়ি। তালিম নিয়েছেন আর কে শ্রীকান্ত, পালঘাট কে ভি নারায়ণস্বামী ও পণ্ডিত যশরাজের কাছে। ভারতে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জন ম্যাকলাফলিন, পাকো দ্য লুচ্যা, জাকির হোসেন, সুলতান খান, বিশ্বমোহন ভট্, অজয় চক্রবর্তীসহ অনেক স্বনামধন্য শিল্পীর সঙ্গে বাঁশি বাজিয়েছেন তিনি। তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কলাইমামানি ও ২০০৯ সালে জন ম্যাকলাফলিনের সঙ্গে বাঁশি বাজানোর জন্য গ্র্যামির মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে আইসিসিআর-এর বিশেষ পর্যায়ে নিবন্ধিত হন তিনি। তাঁর বাঁশি শোনা যাবে উৎসবের তৃতীয় রাতে।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় স্বনামধন্য তবলাশিল্পী। পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের তিনি সাক্ষাৎ শিষ্য। ভারত ও বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে তবলা পরিবেশন করে দর্শক-সমালোচকের আনুকূল্য লাভ করেছেন তিনি। অনিন্দ্যই প্রথম ভারতীয় শিল্পী, যিনি যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমনসে তবলা পরিবেশন করেন। সংগীতে অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি পদক এবং সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ফরুখাবাদ বাদনরীতির একজন অন্যতম ধারক ও বাহক।