এবার চিত্রনায়িকা সায়ন্তিকাকে নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন প্রযোজক
‘ছায়াবাজি’ সিনেমার প্রযোজকের সঙ্গে কলকাতার নায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানার্জির সম্পর্কের অবনতি চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে। এত দিন অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগের মধ্যে বিষয়টি সীমাবদ্ধ ছিল। এবার প্রযোজক সংবাদমাধ্যমে সরাসরি জানালেন, ‘ছায়াবাজি’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় এই নায়িকাকে। মিথ্যাচারের কারণে এই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
‘ছায়াবাজি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য গত আগস্টের শেষ দিকে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। কলকাতার এই নায়িকাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন ছবির নায়ক জায়েদ খান। বিমানবন্দরের একাধিক স্থিরচিত্রে দেখা গেছে, সায়ন্তিকার সঙ্গে ছিলেন কলকাতার পরিচালক রাজীব বিশ্বাস।
ঢাকায় নেমেই শুটিংয়ে কক্সবাজারে ছুটে যান সায়ন্তিকা। শুটিং চলার কয়েক দিন পরই কলকাতার এই নায়িকার সঙ্গে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর শুটিং শেষ না করে চলে যান তিনি। দেশ ছাড়ার পরই প্রযোজক মনিরুল ইসলাম, নায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা সায়ন্তিকাকে নিয়ে নানা ধরনের কথা চাউর হতে থাকে। একে অপরকে নিয়ে অসম্মানজনক ও অশ্রদ্ধাপূর্ণ কথাও বলেন। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, ছবিটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
প্রযোজক মনিরুল ইসলাম জানান, ‘ছায়াবাজি’ সিনেমায় সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়ে তাঁর বদলে দেশি নায়িকা নিয়ে কাজ করবেন। তিনি বলেন, ‘এত মিথ্যাচার আর নিতে পারছি না। এ ছবির কাজ আর করব না। যদি করিও, সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়ে দেশি শিল্পী নিয়ে নতুন করে এ ছবির কাজ শুরু করব।’
কথা প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম জানান, ছায়াবাজি নামে তিনি মূলত একটি ওয়েব সিরিজ বানাতে চেয়েছিলেন। এরপর জায়েদ খানের অনুরোধে পরিকল্পনা বদল করেন তিনি। তাঁর মতে, ‘এই গল্প নিয়ে একটি ওয়েব ফিল্ম বানানোর কথা ছিল। কিন্তু জায়েদ খানের অনুরোধেই এটি সিনেমা হিসেবে শুরু করি। নইলে এই ছবির কোনো প্ল্যানিং ছিল না আমার। জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা মিলে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।’
এদিকে ছবিটির নানা জটিলতার মধ্যে অর্থনৈতিক ব্যাপারেও অভিযোগ উঠে আসে। এ বিষয়ে জায়েদ খান জানান, এ ছবির শুটিং এতটাই অব্যবস্থাপনায় পরিপূর্ণ ছিল যে নায়িকার কস্টিউম, হোটেল ভাড়া, খাবারের বিলও তিনি দিয়েছেন। ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা হোটেল বিল এসেছিল। প্রযোজক ৯৭ হাজার বিল দিয়ে চলে গেছেন। বাকি টাকা তিনি দিয়েছেন। তাঁর মতে, প্রযোজক প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছেন। তার কথা ও কাজে মিল নেই।
মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি সব বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছেন। তাঁর মতে, ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাড়া বুঝিয়ে দিয়ে তাঁরা ঢাকায় চলে আসেন। এরপর শুনেছেন, ৭ সেপ্টেম্বরও কারা যেন হোটেলে ছিলেন। সেই টাকা তো তিনি দেবেন না। কারণ, তার শুটিং প্যাকআপ হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। তিনি পাল্টা কথায় এ–ও বলেছেন, জায়েদ খানকে নায়িকার ড্রেস দিতে হবে কেন? তিনি সায়ন্তিকার ড্রেস বাবদ আলাদা ৫০ হাজার রুপি দিয়েছেন। পারিশ্রমিকের মধ্যে জায়েদ খানের ড্রেসের টাকাও ধরা হয়েছে।