হল খোলার প্রস্তুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাবে ৫০ কোটি টাকা
করোনা মহামারির কারণে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সরকারি বিশ্ববদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল। সরকারি নির্দেশনা মেনে আগামী ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। ১৭ মে খুলে দেওয়া হবে আবাসিক হল। এর প্রস্তুতি হিসেবে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া এ টাকায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলে সংস্কারকাজ করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলার আগে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে আবাসিক হলগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে ইউজিসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল আছে, তাদের জন্য এ বরাদ্দ।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রী আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। এক বছর বন্ধ থাকায় এসব হলের অবকাঠামোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানোর আগে সেসব ঠিকঠাক করা হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য কক্ষ পরিষ্কার ও রঙ করা, বাথরুম ও ডাইনিংয়ে নতুন বেসিন বসানো, হলের প্রবেশপথে জীবাণুনাশক টানেল বসানো, স্যানিটাইজ করার উপকরণ কেনাসহ বিভিন্ন কাজে বরাদ্দের টাকা কাজে লাগানো হবে।
ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর জন্য আমরা দেড় শ কোটি টাকা চেয়েছিলাম। বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এ টাকা ভাগ করে হল কর্তৃপক্ষকে বিতরণ করা হবে। শিক্ষার্থীর সংখ্যার অনুপাতে একেকটি হল অর্থ পাবে। অর্থপ্রাপ্তির দুই মাসের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করতে হবে।’
ফেরদৌস জামান আরও বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বরাদ্দের খাত চূড়ান্ত হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে টাকা পৌঁছে দেবে ইউজিসি। বরাদ্দের টাকা যাতে কেউ নয়ছয় করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকবে ইউজিসি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে থাকতে হয়। তাই হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হলে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বরাদ্দের ৫০ কোটি টাকা পর্যাপ্ত নয়। রক্ষণাবেক্ষণ কাজের পেছনেই এ অর্থ ব্যয় করতে হবে।