রিকি পরীক্ষা দিল রাতে
>
- রিকির পরীক্ষা শুরু হয় সন্ধ্যা ৬ টায়
- পরীক্ষা শেষ হয় রাত ৯ টায়
- সকাল থেকে কেন্দ্রেই ছিল রিকি
- দুপুরে কেন্দ্রেই খাওয়াদাওয়া করে
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় । সব পরীক্ষার্থী সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা দিলেও ব্যতিক্রম ছিল শুধু রিকি হালদার। তার পরীক্ষা শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। শেষ হয় রাত ৯টায়।
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী ‘সেভেন্থ ডে অ্যাডভান্টিস্ট’ সম্প্রদায়ের পরীক্ষার্থী রিকি হালদার অন্যান্য পরীক্ষার্থীর মতো সকাল ৯টায় পরীক্ষা দিতে আসে। অন্যরা পরীক্ষা দেওয়া শুরু করলেও রিকি অপেক্ষায় থাকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সে পরীক্ষাকেন্দ্রে অবস্থান করতে থাকে। দুপুরে কেন্দ্রেই খাওয়াদাওয়া করে।
ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শনিবার লেখালেখি করা যাবে না। তাই সূর্যাস্তের পর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করে রিকি। শিক্ষা বোর্ড তা অনুমোদন করে। ২, ৯, ১৬ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি শনিবারের পরীক্ষাগুলো দিনের পরিবর্তে রাতে দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে সে।
রিকি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পারফেক্ট ইংলিশ ভার্সন স্কুলের এসএসসি বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী। কুমারখালী এমএন হাইস্কুল কেন্দ্রে সে পরীক্ষা দিচ্ছে।
রিকি জানায়, ধর্মীয় রীতির কারণে সেভেন্থ ডে অ্যাডভান্টিস্ট সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা একই পন্থায় রাতে পরীক্ষা দিচ্ছে। শনিবার ধর্মীয় উপাসনা থাকে। এদিন পড়াশোনা, লেখালেখি, খেলাধুলা, কেনাকাটাসহ সব কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়। রাতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় শিক্ষা বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সে।
কুমারখালী এমএন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব ফিরোজ মহম্মদ বাশার প্রথম আলোকে বলেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী রিকির পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। রিকি পরীক্ষাকেন্দ্রে সকালে এলেও কেন্দ্রের আলাদা কক্ষে তাকে রাখা হয়। সে সারা দিন কক্ষ থেকে বের হতে পারেনি।
রিকির বাবা রিপন হালদার বলেন, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় তাঁদের বাড়ি। চাকরির জন্য তিনি কুমারখালীতে থাকেন। তিনিও রাতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন বলে জানান।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সারা দেশে এ রকম ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো পরীক্ষার্থী রয়েছে। আগেও এভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।