চাকরি ও ভিসার নামে প্রতারণা হচ্ছে: সাবধান করল ব্রিটিশ হাইকমিশন
বাংলাদেশের নাগরিকদের চাকরি দেওয়ার নামে অনলাইনে প্রতারণা বেড়েছে। ভুয়া ওয়েবসাইট ও ই–মেইলের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে চাকরির প্রস্তাব পেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। এসব ওয়েবসাইট আর ই–মেইলের ব্যাপারে বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকতে বলেছে হাইকমিশন।
ব্রিটিশ হাইকমিশন এক বার্তায় জানিয়েছে, এ প্রতরণায় জড়িত ব্যক্তিরা ভুক্তভোগীদের নানা ভুয়া নথি সরবরাহ করে থাকে। নথিগুলো যুক্তরাজ্যর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে জারিকৃত বলে দাবি করা হলেও সেগুলো আসলে ভুয়া। প্রতারণায় জড়িত ব্যক্তিরা ‘কাজের অনুমতি’, ‘ভিসা আবেদনের’ জন্য ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অর্থ পরিশোধ করতে বলে। চাকরির আশায় অনেকেই অর্থ দিয়ে প্রতারিত হন। প্রতারকেরা অনেক সময় বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিদেশের কর্মসংস্থানের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অথবা ভুক্তভোগী ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে উপদেশ দিয়ে থাকে।
ব্রিটিশ হাইকমিশন আরও জানায়, কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে দাবি করে প্রতারক চক্র কিছু কৌশল অবলম্বন করছে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে এই প্রতারক চক্র। আসলে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মী নিয়োগের দরকার নেই। বিজ্ঞপ্তিতে ভুয়া টেলিফোন নম্বর, কর্মকর্তার নাম, ই–মেইল অ্যাড্রেস দিয়ে থাকে। তারা কাজের অনুমতি ও যুক্তরাজ্যের ভিসার প্রক্রিয়ার জন্য অর্থ দাবি করে। আসলে যুক্তরাজ্যর ভিসার ক্ষেত্রে ‘কর্মচারী নিবন্ধন ফি’ বলে কিছুই নেই।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে, ব্রিটিশ ভিসার জন্য https://www.gov.uk/ ওয়েবসাইটে বিস্তারিত পাওয়া যাবে। এ ওয়েবসাইট থেকেই যুক্তরাজ্যের ভিসা আবেদন করা যায়। কেউ যদি কোনো সন্দেহজনক মেইল পান বা অন্য কেউ কোনো যোগাযোগ করে, তবে নিকটস্থ থানায় জানোনোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশন। এ–সংক্রান্ত কাজে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশন। এ ক্ষেত্রে সাহায্যপ্রার্থী বা যোগাযোগকারী ব্যক্তির সব তথ্য গোপন রাখা হবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশন।