খুলনায় পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা
যশোর বোর্ডের মধ্যে গত বছরের এসএসসির ফলাফলে সবচেয়ে ভালো করেছিল খুলনা জেলার স্কুলগুলো। পাসের হারে এ বছর দ্বিতীয় স্থানে চলে গেছে খুলনা। আর জেলার মধ্যে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো করেছে।
এ বছর যশোর বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ হলেও বোর্ডের অধীন খুলনা জেলায় পাসের হার ৯২ দশমিক ৬৬। গতবছর খুলনা জেলায় পাসের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গতবছর দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এবার খুলনাকে পেছনে ফেলে পাসের হারে শীর্ষে উঠে গেছে সাতক্ষীরা জেলা। ওই জেলায় পাসের হার ৯৪ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ।
যশোর বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গতবছরের চেয়ে বোর্ডে পাসের হার কমেছে। বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা তিনটি বিভাগেই আলাদাভাবে পাসের হার কমেছে। এদিকে গতবারের জিপিএ ৫ পাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা তিনটি বিভাগেই গতবারের চেয়ে জিপিএ ৫ পাওয়ার হার বেড়েছে। এবার বোর্ডে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে আর কেউ পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে।
সাতক্ষীরা ও খুলনার পর পাসের হারে বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে বাগেরহাট জেলায় ৯০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যশোর জেলায় ৯০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ, নড়াইল জেলায় ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ঝিনাইদহ জেলায় ৮৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, মাগুরা জেলায় ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, কুষ্টিয়া জেলায় ৮০ শতাংশ এবং মেহেরপুর জেলায় ৭৮ দশমিক ৩০ শতাংশ পাস করেছে।
এ বছর খুলনা জেলার ৫৬টি কেন্দ্রে ৩৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৪ হাজার ৩৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ২২ হাজার ৫৪৮ জন। গতবারের চেয়ে এবার ২ হাজার ৮৭৬ জন পরীক্ষার্থী কম অংশগ্রহণ করেছে। এ বছর জেলায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল। পাসের হারেও এগিয়ে মেয়েরা। খুলনা থেকে ১১ হাজার ১৭৬ জন ছেলে এবং ১১ হাজার ৩৭২ জন মেয়ে পাস করেছে। জেলা থেকে ৯৩ দশমিক শূন্য নয় শতাংশ মেয়ে এবং ৯২ দশমিক ২১ শতাংশ ছেলে পাস করেছে। গত তিনবছরও এই জেলা থেকে বেশি সংখ্যক মেয়ে পাস করছে।
খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারহানা নাজ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে গিয়ে এবার ফল জানার সুযোগ ছিলো না। বোর্ড থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ফলাফলের গেজেটও প্রকাশ করা হয়নি। খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি এবারও আমাদের স্কুল অনেক ভালো করেছে।