এসএসসি ২০২২ - ভূগোল ও পরিবেশ | অধ্যায় ৪ : সৃজনশীল প্রশ্ন

অধ্যায় ৪

নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

প্রশ্ন

ক. বদ্বীপ কী?

খ. পর্বত ও উপত্যকার মধ্যে ২টি পার্থক্য লেখো।

গ. ক ও গ কীভাবে সৃষ্টি হয়?

ঘ. ‘ক’ ও ‘গ’ শৃঙ্গ হলে ‘খ’ অংশের ভূমিরূপ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর

ক. নদী যখন মোহনার কাছাকাছি আসে, তখন বালি, কাদা নদীর মুখে জমে ত্রিকোনাকার যে সমতল ভূমি সৃষ্টি করে, তাকে বদ্বীপ বলে।

খ. পর্বত ও উপত্যকার মধ্যে ২টি পার্থক্য হলো:

পর্বতঃ

১. পর্বত অনেক উচ্চতাসম্পন্ন হয়ে থাকে।

২. পর্বত খাড়া ঢালবিশিষ্ট।

উপত্যকাঃ

১. উপত্যকা তেমন উচ্চতাবিশিষ্ট হয় না।

২. উপত্যকায় ঢাল নেই বা তা অতি মৃদু।

গ. কোমল পাললিক শিলায় ভাঁজ পড়ে ক ও গ অংশের সৃষ্টি হয়। ভঙ্গিল পর্বতের প্রধান বৈশিষ্ট্য ভাঁজ।

ক ও গ হলো ঊর্ধ্বভাঁজ। সমুদ্র তলদেশের বিস্তৃত অবনমিত স্থানে দীর্ঘকাল ধরে বিপুল পরিমাণ পলি এসে জমা হয়। এর চাপে অবনমিত স্থান আরও নিচে নেমে যায়। পরবর্তী পর্যায়ে ভূ–আলোড়ন বা ভূমিকম্পের ফলে এবং পার্শ্ববর্তী সুদৃঢ় ভূমিখণ্ডের প্রবল পার্শ্বচাপের কারণে ঊর্ধ্বভাঁজ ও নিম্নভাঁজের সৃষ্টি হয়। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এসব ঊর্ধ্ব ও অধোভাঁজসংবলিত ভূমিরূপ মিলেই ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়।

সুতরাং ক ও গ হলো ভঙ্গিল পর্বতের ঊর্ধ্বভাঁজ।

ঘ. চিত্রের ‘ক’ ও ‘গ’ অংশ ঊর্ধ্বভাঁজ, যা কালক্রমে ভঙ্গিল পর্বতের শৃঙ্গে পরিণত হয়। সে ক্ষেত্রে অধোভাঁজ বা নিম্নভাঁজ চিহ্নিত ‘খ’ অংশ উচ্চ মালভূমি তথা পর্বতমধ্যবর্তী মালভূমিতে পরিণত হতে পারে। দুই ভঙ্গিল পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে যে অধোভাঁজসংবলিত ভূমিরূপ বিদ্যমান, তা হলো পর্বতমধ্যবর্তী মালভূমি, অর্থাৎ ‘খ’। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এ অধোভাঁজসংবলিত ভূমিরূপ গঠিত হয়।

এ ধরনের মালভূমি পর্বতবেষ্টিত থাকে। তিব্বত মালভূমি একটি পর্বতমধ্যবর্তী মালভূমি, যার উত্তরে কুনলুন ও দক্ষিণে হিমালয় পর্বত এবং পূর্ব-পশ্চিমেও পর্বত ঘিরে আছে। দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া, মধ্য আমেরিকার মেক্সিকো এবং এশিয়ার মঙ্গোলিয়া ও তারিম এ ধরনের মালভূমি।

মো. শাকিরুল ইসলাম, প্রভাষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

এই অধ্যায়ের প্রকাশিত পূর্বের সৃজনশীল প্রশ্ন