একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল যেভাবে জানবেন
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ১ম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে আজ মঙ্গলবার রাতে। ফল শিক্ষার্থীদের এসএমএসে জানানো হবে। একই সঙ্গে একটি কোড নম্বর পাঠানো হবে। এ কোডটি ভর্তির জন্য সংগ্রহ করতে হবে। আর ভর্তির নির্ধারিত ওয়েব সাইটেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফল জানা যাবে।
করোনার কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়া ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয় গত ৯ আগস্ট সকালে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে ভর্তি কার্যক্রম।
একাদশ শ্রেণিতে এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের ভর্তির ১ম দফায় অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২০ আগস্ট শেষ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে আজ মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাত ৮টায়।
শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়তা করতে হবে আগামীকাল বুধবার থেকে আগামী রোববার (২৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট) রাত ৮টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থী সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে ১ম পর্যায়ের আবেদন বাতিল হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৩১ আগস্ট থেকে চলবে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুসারে ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ হবে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে একই দিন (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন ৫ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থী সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে ২য় পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে।
তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ চলবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল এবং ৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়।
তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে আর কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে। ভর্তি চলবে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহায়তায় এবারও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কলেজ ও মাদ্রাসার ভর্তির কাজটি হচ্ছে। অনলাইনে আবেদন করতে হয়েছে এই ঠিকানায়। আর টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএস করে আবেদন করা গেছে। পছন্দক্রম দিয়ে একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পেরেছে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে এবার ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার কোটা ছাড়া অন্য কোটা থাকবে না। তবে প্রতিবন্ধী, বিকেএসপির শিক্ষার্থী, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য সাফল্যের অধিকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ জন্য তাদের সনাতন (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে।
গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হয়। এতে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী। যারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছেন।
ঢাকা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ভর্তির জন্য আসন আছে ২২ থেকে ২৩ লাখ। ফলে উচ্চমাধ্যমিক মোট আসন নিয়ে সমস্যা হবে না। কারণ আসন খালি থাকবে। তবে সংকট হলো, ভালো কলেজগুলোতে আসন কম। সেখানেই হবে তীব্র প্রতিযোগিতা।