এ বছরও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা কম
করোনার সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা পরীক্ষা হয়নি। চলতি বছরও জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘আমাদের অনেকগুলো লজিস্টিক বিষয় দেখতে হবে। এ বছরের এসএসসি জুন মাসে এবং এইচএসসি আগস্ট মাসে হওয়ার কথা। এইচএসসি আগস্টে হলে আমাদের কাছে এখনো যা মনে হচ্ছে জেএসএসি-জেডিসি পরীক্ষা হওয়াটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর হবে। কারণ শিক্ষাবোর্ডগুলো এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা ও ফলাফল নিয়ে যে রকম ব্যস্ততায় থাকবে...।’
শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একজন সাংবাদিকেরা জানতে চান তাহলে আমরা বলতে পারি এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না। জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়নি। আর কিছুদিন দেখে, তারপর সিদ্ধান্ত হবে। সামনে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা আছে, লজিস্টিক বিষয়গুলো দেখে যদি মনে হয়, কষ্ট হলেও পারা যাবে, সে ক্ষেত্রে হয়তো নেওয়া যাবে। তবে আরও এক-দেড় মাস সময় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে চান বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন শিক্ষাক্রমেও জেএসসি পরীক্ষার কথা নেই, যা ২০২৩ সাল থেকে কার্যকর হবে। আবার গত দুই বছরও এ পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় এক বছরের জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া কতটা জরুরি বলে মনে করেন? এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেই অর্থে খুব যে জরুরি তা হয়তো নয়। তারপরেও পরিস্থিতিটি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। দ্রুততম সময়ে এ সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে, এ বছর জেএসসি পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ আগস্ট এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। এ ধরনের পাবলিক পরীক্ষা নিতে গেলে তিন মাসের মতো প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে। আবার জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীও অনেক বেশি।
সাধারণত প্রতি বছরের নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। টানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ জন্য গত দুই বছর এ পরীক্ষাগুলো হয়নি। এর মধ্যে ২০২০ সালে পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হয়েছিল। গত বছর অবশ্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচিতে কম বিষয়ে বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়েছিল। এবারও অষ্টম শ্রেণি স্তরের শিক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার পরিবর্তে বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।