উপবৃত্তি নিয়ে মাউশির জরুরি নির্দেশনা
তথ্য না পাঠানো, ভুল তথ্য পাঠানো, ডাবল এন্ট্রি, বৃত্তি পাবে না, এমন শিক্ষার্থীর তথ্য পাঠানোর ঘটনায় কোনো শিক্ষার্থী যদি উপবৃত্তির টাকা না পায়, এর দায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও উপজেলা/ থানা শিক্ষা অফিসারের। তাই নির্ভুল তথ্য ১৬ জানুয়ারির মধ্যে জরুরিভাবে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে এ–সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সমন্বিত উপবৃত্তি–সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০ সেশনের একাদশ ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১০ জন শিক্ষার্থীর তথ্য পেন্ডিং রয়েছে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে। আর ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭১ জন শিক্ষার্থীর তথ্য উপজেলা/ থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পেন্ডিং রয়েছে। এ তথ্য ১৬ জানুয়ারির মধ্যে পাঠাতে ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা না পেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং উপজেলা/ থানা শিক্ষা অফিসাররা দায়ী থাকবেন।
অফিস আদেশ উপজেলা/ থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হয়, ‘অযোগ্য শিক্ষার্থীদের তথ্য (যদি থাকে) উপজেলা/ থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা–সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরত পাঠাবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অযোগ্য, ভুল বা ডাবল এন্ট্রি, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ইত্যাদি কারণে অতিরিক্ত এন্ট্রি করা শিক্ষার্থীদের তথ্য এইচএসপি ও এমআইএস সার্ভার থেকে নিষ্ক্রিয় করবেন।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (১৬ জানুয়ারি) কোনো যোগ্য শিক্ষার্থীর তথ্য না পাঠানোর কারণে উপবৃত্তি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং উপজেলা/ থানা শিক্ষা কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।