আইএস পতনের পাঁচ বছরেও মসুলে ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থা

২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় টানা তিন বছর যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারেনি
ছবি: ইউনিসেফ

ইরাকের মসুল শহরে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতনের পাঁচ বছর হয়ে গেল। আইএসের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াই চালানোর পর এই শহর এখন স্বাধীন, মুক্ত। তবে মুক্ত হওয়ার এই পাঁচ বছরেও দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটির শিক্ষাব্যবস্থা ভঙ্গুর থেকে গেছে। ইরাক পাঁচ বছরেও এই শহরে শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে পারেনি।

আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসুল শহরে অনেক সংগ্রাম করে পড়াশোনা করছে শিক্ষার্থীরা। এমনকি এই শহরে চাকরি পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে তরুণদের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের হাজারো শিক্ষার্থী এখন যে স্কুলগুলোতে পড়াশোনা করছে, সেগুলো গত পাঁচ বছরেও পুনর্বাসন করা হয়নি। এ কারণে শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের বসতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বই ও শিক্ষা উপকরণ ছাড়াই স্কুলে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

এমনিতেই দীর্ঘদিন মসুল শহরের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবঞ্চিত ছিল। আইএস মসুল দখলের পর ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় টানা তিন বছর যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তারা স্কুলে যেতে পারেনি।

মসুলে একটি স্কুল ভবনে শিক্ষার্থীরা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএস ২০১৪ সালের জুন মাসে মসুল দখল করে। এরপর সুন্নি আরব দেশটির বেশির ভাগ এলাকা দখলে নিয়ে ইরাক ও সিরিয়াজুড়ে ‘খেলাফত’ ঘোষণা করে আইএস। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সহায়তায় সরকারি বাহিনীর অভিযানে দুই দেশেই একের পর এক এলাকা হারাতে থাকে আইএস। ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবর মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহায়তায় মসুল পুনর্দখল অভিযান শুরু করে ইরাকি বাহিনী।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মসুলে পূর্বাঞ্চল দখলে নেয় তারা। পরের মাসে ইরাকি বাহিনী মসুলের পশ্চিমাংশ মুক্ত করার অভিযান শুরু করে।

একই বছরের ৯ জুলাই ইরাকের মসুল শহর জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কাছ থেকে পুনর্দখলের পর ‘বিজয়’ ঘোষণা করেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি। আইএসের সঙ্গে ৯ মাসের লড়াই শেষে মুক্ত হয় মসুল।

জাতিসংঘ জানায়, ২০১৭ সালের অক্টোবরে মসুল পুনরুদ্ধার অভিযান শুরুর পর ৯ লাখ ১৫ হাজার লোক শহরটি ছেড়ে পালিয়েছে।

মসুলের একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

মসুল মুক্ত হওয়ার পর ইরাক সরকার নির্দেশ দেয়, শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিবর্তে বয়স হিসাব করে শিক্ষার্থীদের নতুন ক্লাসে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করতে হবে। এতে তিন বছর যেসব শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারেনি, তারা বয়সের হিসাবে নতুন করে উঁচু শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ায় পড়াশোনার বাড়তি চাপের মুখে পড়েছে।

মসুলের রিয়াদ মোহাম্মদ খালাফের ছেলে রাদওয়ান নতুন করে স্কুল শুরু করার পর কয়েকবার ক্লাসে অকৃতকার্য হয়েছে। পাঁচ বছরে মাত্র একবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরের শ্রেণিতে গিয়েছে। এর কারণ হিসেবে রিয়াদের অভিযোগ, শহর আইএসের দখলে থাকার সময় তিন শ্রেণি পড়েনি রাদওয়ান। পরে সেগুলো না পড়িয়ে তাকে তিন শ্রেণি ওপরে ভর্তি করিয়ে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই চাপ সে আর সামাল দিতে পারছে না। এই ঘটনা কেবল রাদওয়ানের ক্ষেত্রেই ঘটেনি। শহরের কিশোর বয়সী অসংখ্য শিক্ষার্থী এই সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।

রাদওয়ানকে নতুন করে যখন স্কুলে ভর্তি করানো হয়, তখন তাকে পঞ্চম গ্রেডে ভর্তি করিয়ে নেয় স্কুল। গত পাঁচ বছরে সে পঞ্চম গ্রেড পেরিয়ে কেবল ষষ্ঠ গ্রেডে উঠেছে।

মসুলে মাত্র ৮০৮টি স্কুলে এখন পাঠদান চলছে
ফাইল ছবি: এএফপি

রিয়াদসহ অন্য অভিভাবকদের অভিযোগ, আইএসের পতনের পরে স্কুলে ফিরে যাওয়ার সময় গ্রেড এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। আর এখন পরীক্ষায় ফেল করার কারণে তাদের ওপরে গ্রেডে পড়তে দেওয়া হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীদের সহপাঠীদের চেয়ে বয়সও বেড়ে যাচ্ছে, পড়াশোনায় এগোতে পারছে না।

রিয়াদ তাঁর ছেলে রাদওয়ানের আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য আলাদাভাবে প্রাইভেট শিক্ষক ঠিক করে দিয়েছেন। ওই শিক্ষক সপ্তাহে তিন দিন পড়ান। এ কারণে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে রিয়াদকে। এতে তাঁর পরিবারে আর্থিক চাপও সৃষ্টি হয়েছে।

মসুলের হালাব প্রাইমারি স্কুলের (বালক) উপপ্রধান শিক্ষক ইউনিস ইব্রাহিম খলিল বলেন, শিক্ষকদের প্রায় সময় শিক্ষার্থীদের প্রথম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের মৌলিক বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করতে হয়। তিনি বলেন, এর একটি সমাধান হচ্ছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করতে হবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছুটির পরিবর্তে পূববর্তী শ্রেণির পড়াগুলো সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। চার মাসের গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটিয়ে স্কুলে আসার পর শিক্ষার্থী সব ভুলে যায়। তাই এই সময়টা এই ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

মসুলে চালু থাকা ৮০৮টি স্কুলে শিক্ষার্থীর সংস্থা ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩২২ জন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

মসুলে অনেক বছর থেকেই শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা বিদ্যমান। কিন্তু শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিজ্ঞতার আলোকে এত বছরেও এই সমস্যা উত্তরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘মসুল শহর ইরাকের সরকারি বাহিনী পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর আমরা শিক্ষাব্যবস্থার কোনো অগ্রগতি বা পরিবর্তন লক্ষ করিনি। এমনকি সমস্যা সমাধানে সরকারও কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’

এসব বিষয়ে ইরাকের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

শ্রেণিকক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আছেন মাত্র একজন করে শিক্ষক
ফাইল ছবি: রয়টার্স

শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি শিক্ষার্থী

রিয়াদ তাঁর ছেলে যে স্কুলে পড়ে, সেখানকার শিক্ষকেরা অনভিজ্ঞ বলেও অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাদওয়ানের পড়ালেখায় এখন সবচেয়ে বড় বাধা শিক্ষকেরাই।’

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইরাকের বাজেটের মাত্র ৯ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হয়।

এ কারণে স্কুলে শিক্ষকদের বেতন অনেক কম। শিক্ষা অবকাঠামোর উন্নতি না হওয়ায় শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে বসে পড়াশোনা করে শিক্ষার্থীরা। হালাব প্রাইমারি স্কুলের (বালক) প্রতি শ্রেণিকক্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসে। আর এত সব শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য শিক্ষক মাত্র একজন করে। একজন শিক্ষকের পক্ষে এত শিক্ষার্থী নিয়ন্ত্রণ করাটাও অনেক কঠিন ব্যাপার, যা বেশির ভাগ সময় সম্ভব হয় না।

মসুলের পশ্চিমাঞ্চলের একটি স্কুলে পড়ে ১৮ বছর বয়সী তবারক আলী হুসেইন। তাঁর ধারণা, আইএসের সঙ্গে যুদ্ধের আগে পড়াশোনা অনেক ভালো ছিল।

তবারক আলী বলেন, ‘সে সময় (যুদ্ধের আগে) পড়াশোনায় আমি খুব ভালো করছিলাম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আলাদা। পড়া বুঝতে এখন আমার খুব অসুবিধা হয়। কারণ, শ্রেণিকক্ষে অসংখ্য শিক্ষার্থী থাকে। আর শিক্ষকও সবার প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন না। শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে ক্লাসগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করাও সম্ভব নয়।’

ইরাকের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মসুলে মাত্র ৮০৮টি স্কুলে এখন পাঠদান চলছে। এ–সংখ্যক স্কুলে শিক্ষার্থীর সংস্থা ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩২২ জন। আর স্টাফসহ শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার ৪৫৬।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) তথ্য অনুযায়ী, মসুলে এখনো ১৮৫টি স্কুল মেরামত করা দরকার।

রাদওয়ানের স্কুলে ১২টি শ্রেণিকক্ষ আছে। শিটের তৈরি চারটি ভবন নিয়ে এই স্কুল। স্থানীয়ভাবে এই ভবনগুলোকে ‘ক্যারাভান’ বলা হয়। এই স্কুলের ১২টি শ্রেণিকক্ষে ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে, যাদের অধিকাংশকেই পর্যাপ্ত বই দেওয়া সম্ভব হয়নি।

সংকট চারদিকে

মসুলের শিশুদের শৈশব থেকেই অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে—একের পর এক সংঘর্ষ ও যুদ্ধ; এর কারণে বাস্তুচ্যুতি। এসব ঘটনা ওই সব শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও ব্যাপকভাবে নেচিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এনআরসির ইরাক পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অ্যাডভাইজর ক্যারোলাইন জুলো বলেন, শিক্ষার্থীদের এই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষকদের কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ নেই। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে অসুবিধা হচ্ছে বা তাদের রাগ–দুঃখের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে—এই বিষয়গুলো তাঁরা (শিক্ষক) নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করতে পারেন। কিন্তু বাচ্চারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, তা তাঁরা জানেন না।’

ক্যারোলাইন জুলো আরও বলেন, একটি শ্রেণিকক্ষে ৮০ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকে। এ কারণে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত বিষয়ে যত্ন নেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না শিক্ষকদের।

প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ছাড়া শ্রেণিকক্ষে যাওয়ায় পড়াশোনায় নিরুৎসাহ এবং অধিকাংশ সময় শ্রেণিকক্ষে পড়া বুঝতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থী অল্প বয়সেই হতাশায় ভোগে। আর এ কারণে অনেকেই স্কুল ছেড়ে চলে যেতে চায়। স্কুল থেকে অল্প বয়সেই ঝরে পড়ে অসংখ্য শিশু শিক্ষার্থী। আবার অনেকের ধারণা থাকে, শহরের যে অবস্থা, তাতে পড়াশোনা শেষ করে তাদের জন্য কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকবে না।

২০১৭ সালে আইএসের হামলায় এভাবেই ধ্বংস্তূপে পরিণত হয় মসুল বিশ্ববিদ্যালয় ভবন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

এনআরসি বলছে, মসুলের একটি স্কুলে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ২০–এ পৌঁছেছে।

মনা আবদুল করিম (ছদ্মনাম) একজন গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার। আইএস মসুল দখল করে নেওয়ার অল্প কিছুদিন আগে ৩১ বছর বয়সী তরুণী মনা এই ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই আইএসের পতন হয়েছে। মসুল মুক্ত হওয়ারও পাঁচ বছর পেরোতে চলল। কিন্তু মনা এখনো চাকরি জোগাড় করতে পারেননি।

মনা আবদুল করিম বলেন, আইএসের পতনের মধ্য দিয়ে মসুল শহর সরকারি বাহিনী পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তবে একটি চাকরি পেতে এখন দরকার সঠিক যোগাযোগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক।

মনা বলেন, তিনি ইরবিলে একটি চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কুর্দিস্তান রিজিওনাল সরকারের রেসিডেন্স পারমিট ছিল না বলে ওই চাকরি তাঁর হয়নি।

এত সংকট নিয়েও তবারক আলী পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুলের পাট চুকিয়ে অন্তত কলেজ পর্যন্ত পড়েত চান তিনি। কিন্তু ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি খুব উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারব না যে আমি চাকরি পাব। কারণ, আমরা এখন সবাই আমাদের দেশের পরিস্থিতি ও মসুলের পরিস্থিতি জানি। এ ছাড়া কলেজ পর্যন্ত পড়াশোনা করা ব্যক্তিদের জন্য তেমন কোনো চাকরিও নেই।’

হালাব প্রাইমারি স্কুলের (বালক) উপপ্রধান শিক্ষক ইউনিস ইব্রাহিম খলিল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মসুলের শিক্ষার্থী, এমনকি গ্র্যাজুয়েটদের জন্যও পরিস্থিতিটা অনেক কঠিন। তিনি বলেন, ‘মসুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর খুব উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমি দেখছি না। কারণ, আমাদের অনেক সমস্যা, যার কোনো সমাধান হয়নি।’

  • আল–জাজিরা, বিবিসি ও এএফপি অবলম্বনে আবু হেনা মোস্তফা কামাল