অ্যাসাইনমেন্ট যেভাবে মূল্যায়ন করছেন শিক্ষকেরা
শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নে শিক্ষকদের নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শুধু উত্তম, অতি উত্তম বা ভালো নয়, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে শিক্ষকদের। মাঠপর্যায়ের অনেক শিক্ষক বিস্তারিতভাবে মূল্যায়ন নির্দেশনা অ্যাসাইনমেন্টগুলোর ওপর লিখছেন না বলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ পরিস্থিতে মাধ্যমিক স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। কিন্তু পরবর্তী শ্রেণিতে প্রমোশন পাবে সবাই। কোনো মার্কিং বা গ্রেডিং দেওয়া হবে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করা যায় এমন সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এ সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। আগে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নে নির্দেশনা দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন নির্দেশক বিস্তারিতভাবে লেখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীর খাতায় যখন ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’ বা অগ্রগতি প্রয়োজন লিখছেন, সেটা কেন লিখছেন, তার কারণ ইতিমধ্যে পাঠানো শিক্ষকদের জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে বিস্তারিতভাবে অ্যাসাইনমেন্টের ওপর লিখতে হবে। যেন শিক্ষার্থী তার সবলতা বা দুর্বলতা বুঝতে পারে এবং পরে যখন অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হবে, সে ক্ষেত্রে বিস্তারিত মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করবে। শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভরতা কমবে, তারা সূক্ষ্ম চিন্তা করতে শিখবে এবং সৃষ্টিশীল হবে। পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে, পরীক্ষা–ভীতি চলে যাবে এবং পরীক্ষা হয়ে উঠবে শিখনফল অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। অর্থাৎ পরীক্ষা দিতে দিতে নিজের অজান্তেই তারা অনেক কিছু শিখে ফেলবে।