উপাচার্যের ফেসবুক আইডি হ্যাক
অভিযুক্ত ছাত্রীর বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ডুজার আল্টিমেটাম
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ফেসবুক আইডি হ্যাক করার অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)। তিন কার্যদিবসের মধ্যে ওই ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে সারাদেশের ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার বিকেলে ডুজার সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির ও সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। বহিষ্কার হওয়া ওই ছাত্রীর নাম ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হলেও কত দিনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে, তা বলা হয়নি৷
ডুজার বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো স্বৈরতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নয়, একটি বিশ্বজনীন প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাজসচেতন শ্রেণি। বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে তাঁরা কথা বলবেন, লিখবেন; এটিই স্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর অধিকার রয়েছে মন খুলে মতামত প্রকাশ করার। বাংলাদেশের সংবিধানেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সেই হিসেবে ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখতেই পারেন। কিন্তু এর জেরে তাঁকে বহিষ্কার করা চরম হাস্যকর ঘটনা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশ করার কারণে একজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিককে বহিষ্কার করার মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চরম স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে। এটি অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পশ্চাৎপদ ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী বলে প্রমাণ দিয়েছে। একজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপর এ ধরনের আচরণে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রসঙ্গত, বহিষ্কার হওয়া ওই শিক্ষার্থী একটি ইংরেজি দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: