মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে ৭৭ জনের পদোন্নতি, বেতন ষষ্ঠ গ্রেডে
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মিলিয়ে মোট ৭৭ জনকে পদোন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষিকা ও প্রধান শিক্ষক করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিভিন্ন পদে পদায়ন করা হয়েছে।
আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই পদোন্নতির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
পদোন্নতি পাওয়ার পর এখন নতুন প্রধান শিক্ষকেরা জাতীয় বেতন স্কেলের ষষ্ঠ গ্রেডে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এত দিন তাঁরা নবম গ্রেডে বেতন পেতেন।
পদোন্নতি ৭৭ জন শিক্ষকেরা এখন ষষ্ঠ গ্রেডে ৩৫,৫৫০–৬৭০১০ বেতনক্রমে বেতন পাবেন।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পদ-পদোন্নতি নিয়ে নানামুখী সমস্যা আছে। সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের বেশির ভাগই ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে একই পদে চাকরি করে পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যেতেন। ২০১৮ সালে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ নামে নবম গ্রেডের পদ সৃষ্টি করা হয়। এই পদে ২০২১ সালের জুনে পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী পদোন্নতিযোগ্য ‘সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা’ পদে পদোন্নতির জন্য বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনসংক্রান্ত জটিলতার কারণে এই পদে পদোন্নতিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সূত্রমতে, বর্তমানে সহকারী শিক্ষকের ১ হাজার ৮১৭টি পদ শূন্য। অবশ্য এসব পদ পূরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে মাউশি। আলাদা নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে গেলে অনেক সময় লাগবে, সে জন্য বিসিএসে উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পদ পাননি, এমন প্রার্থীদের মধ্যে থেকে যাঁরা ইচ্ছুক, তাঁদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছে মাউশি।
অন্যদিকে সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারও অনেক পদ শূন্য রয়েছে। উপপরিচালকের পদগুলো দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে।
এমন অবস্থায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতিতে খুশি মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা। পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, বেশির ভাগকেই বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন করা হয়েছে। তবে কয়েকজনকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদেও পদায়ন করা হয়েছে।