সংক্ষেপে জেনে রাখি - জিডিপি, মাথাপিছু আয়, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সম্পদের অপ্রাচুর্যতা
জিডিপি
একটি নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে দেশের সব উৎপাদনের উপাদানগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে মোট যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্ম উৎপাদিত হয়, তার সমষ্টিকে মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি বলে। মোট জাতীয় উৎপাদন হিসাব করার সময় মধ্যবর্তী দ্রব্য ও সেবা বাদ দিয়ে কেবল চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবা ধরা হয়।
মাথাপিছু আয়
মাথাপিছু আয় হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের নাগরিকদের গড় আয়। এটি নির্ধারিত হয় মোট জাতীয় আয় ও মোট জনসংখ্যা এ দুটি বিষয়ের মান দ্বারা। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশের মোট জাতীয় আয়কে সে দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থা
যে ব্যবস্থা বা কাঠামোর আওতায় উৎপাদনের উপাদানগুলোর মালিকানা নির্ধারিত হয় এবং উৎপাদন প্রক্রিয়া, উৎপাদিত সম্পদের বণ্টন ও ভোগ প্রক্রিয়া সম্পাদিত হয়, তাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা জনগণের অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং অর্থনীতিবিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত কাঠামোর সমন্বয়ে গড়ে উঠে।
সম্পদের অপ্রাচুর্যতা
অভাবের তুলনায় যদি সম্পদের পরিমাণ কম হয়, তবে তাকে সম্পদের অপ্রাচুর্যতা বলে। মানুষের অভাব অসীম। কিন্তু এ অভাব পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের পরিমাণ সীমিত। সীমিত সম্পদের সাহায্যে মানুষকে তার সীমাহীন অভাব পূরণ করতে হয়।