আমি যেভাবে সঠিক তথ্য যাচাই করতে পারতাম - ডিজিটাল প্রযুক্তি | অষ্টম শ্রেণি
অষ্টম শ্রেণির পড়াশোনা
গতকাল আমরা তিনটি ভিন্ন কাল্পনিক পরিস্থিতির উদাহরণ পড়েছি। কীভাবে আমরা বুঝতে পারব আলোচিত সেসব পরিস্থিতির তথ্যগুলো ভুল ছিল? নিচে আমাদের ধারণাগুলো লিখি।
আমি যেভাবে সঠিক তথ্য যাচাই করতে পারতাম (একটি উদাহরণ দেওয়া হলো)
পরিস্থিতি ১
একই সংবাদ অন্য একটি সংবাদমাধ্যমে কীভাবে প্রচারিত হয়েছে, তা যাচাই করার জন্য অন্য দুটি সংবাদমাধ্যম যাচাই করতাম। তাহলে ছবিটি যে ভুল, তা আমি বুঝতে পারতাম। সংবাদটির শিরোনাম বা শিরোনামের কি-ওয়ার্ড দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের একই খবর চলে আসবে।
পরিস্থিতি ২
আমি যেভাবে সঠিক তথ্য যাচাই করতে পারতাম (এই ঘরে আমার ধারণাগুলো লিখি)
এখন মানুষের চেহারা, কণ্ঠ সবই বদলে দেওয়ার মতো প্রযুক্তি এসেছে। এতে মিথ্যা থেকে সত্যটা আলাদা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। ফেক নিউজের কারণে একটি রেস্টুরেন্টের নাম ‘গ’–এর পরিবর্তে ‘খ’–এর নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আগে ফেক নিউজ ছড়ানোটা অনেক জটিল ও ব্যয়বহুল ছিল। এখন ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া—ফেসবুক, ইউটিউব, ভুয়া ওয়েবসাইট, গণমাধ্যমের যুগে এটা কোনো ব্যাপারই নয়। অনেকে এসব নিউজ ভাইরাল করে আয় করছেন। তাই সচেতনতাটাই সবচেয়ে জরুরি।
পরিস্থিতি ৩
আমি যেভাবে সঠিক তথ্য যাচাই করতে পারতাম (এই ঘরে আমার ধারণাগুলো লিখি)
তথ্যপ্রযুক্তিতে নির্ভরশীল বর্তমান অপতথ্য বা ম্যালইনফরমেশন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অপতথ্য ও ভুল তথ্য বর্তমান চেয়ারম্যানকে হেয় করেছে। অথচ এটি ছিল আগের চেয়ারম্যানের আমলে অপরাধ। ভুয়া সংবাদের প্রচার, মিথ্যা বর্ণনাকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার জন্য সমাজে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে অপতথ্য প্রচার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে।
যাচাই করতে সঠিক তথ্য সংগ্রহ কিছু তথ্য যাচাই করার মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া জানব। কিন্তু এর জন্য আমাদের প্রথমে ঠিক করতে হবে আমরা কী তথ্য যাচাই করব। আমাদের পরিচিতজনের কাছ থেকে জানতে চাইব কোন কোন তথ্য যাচাই করা প্রয়োজন। এর জন্য আমরা গুগল ফরম ব্যবহার করব।
প্রকাশ কুমার দাস,সহকারী অধ্যাপক,মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা