সংক্ষেপে জেনে রাখি - প্লাস্টিড, ক্লোরোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট, লিউকোপ্লাস্ট

প্লাস্টিড

প্লাস্টিড উদ্ভিদকোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু। প্লাস্টিডের প্রধান কাজ খাদ্য প্রস্তুত করা, খাদ্য সঞ্চয় করা এবং উদ্ভিদদেহকে বর্ণময় করে পরাগায়নে সাহায্য করা। প্লাস্টিড তিন ধরনের—ক্লোরোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট ও লিউকোপ্লাস্ট। প্লাস্টিড আবিষ্কার করেন আর্নস্ট হেকেল, তবে এ এফ ডব্লিউ শিম্পার প্রথম স্পষ্ট সংজ্ঞা দেন।

ক্লোরোপ্লাস্ট

সবুজ রঙের প্লাস্টিডকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। পাতা, কচি কাণ্ড ও অন্যান্য সবুজ অংশে ক্লোরোপ্লাস্ট পাওয়া যায়। প্লাস্টিডের গ্রানা অংশ সূর্যালোককে আবদ্ধ করে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে। এ প্লাস্টিডে ক্লোরোফিল থাকে, তাই এদের সবুজ দেখায়। এ ছাড়া এতে ক্যারোটিনয়েড নামের একধরনের রঞ্জকও থাকে।

ক্রোমোপ্লাস্ট

ক্রোমোপ্লাস্ট রঙিন প্লাস্টিড, তবে সবুজ নয়। এসব প্লাস্টিডে জ্যাস্থফিল, ক্যারোটিন, ফাইকোএরিথ্রিন, ফাইকোসায়ানিন ইত্যাদি রঞ্জক থাকে, তাই কোনোটিকে হলুদ, নীল, আবার কোনোটিকে লাল দেখায়। এদের মিশ্রণের কারণে ফুল, পাতা ও উদ্ভিদের অন্যান্য অংশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। রঙিন ফুল, পাতা এবং গাজরের মূলে এদের পাওয়া যায়। ফুলকে আকর্ষণীয় করে পরাগায়নে সাহায্য করা এদের প্রধান কাজ।

লিউকোপ্লাস্ট

যেসব প্লাস্টিডে কোনো রঞ্জক পদার্থ থাকে না, তাদের লিউকোপ্লাস্ট বলে। যেসব কোষে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, যেমন মূল, ভ্রূণ, জননকোষ ইত্যাদিতে এদের পাওয়া যায়। এদের প্রধান কাজ খাদ্য সঞ্চয় করা। আলোর সংস্পর্শে এলে লিউকোপ্লাস্ট ক্লোরোপ্লাস্টে রূপান্তরিত হতে পারে।

আরও পড়ুন