অধ্যায় ৩
১৩. প্রশ্ন: ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো কোথায় রাখা হয়?
উত্তর: ঐতিহাসিক নিদর্শন একটি জাতির মূল্যবান সম্পদ। ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো প্রদর্শনের জন্য জাদুঘরে রাখা হয়। সব শ্রেণির মানুষ যাতে অতীত ইতিহাস সম্পর্কে সহজে জানতে পারে সে জন্যই জাদুঘরে এসব নিদর্শন রাখা হয়। এসব মূল্যবান সম্পদ যেমন জাদুঘরে সংরক্ষণ করতে হয়, তেমনি প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করতে হয়।
১৪. প্রশ্ন: প্রাচীন নিদর্শনগুলো কারা আবিষ্কার করেন?
উত্তর: প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো প্রত্নতাত্ত্বিকরা আবিষ্কার করেন। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর রয়েছে নিজস্ব জাদুঘর। যেখানে ঐতিহাসিক স্থানে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে।
১৫. প্রশ্ন: ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের কারণগুলো লেখো।
উত্তর: ঐতিহাসিক নিদর্শন পরিদর্শনের কারণগুলো:
ক. ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো যেকোনো জাতির অতীত সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।
খ. ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে সাহায্য করে।
গ. দেশি ও বিদেশি পর্যটকেরা এসব স্থান ভ্রমণ করতে আসেন। ফলে বিশ্বের মানুষের কাছে নিজের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে সাহায্য করে।
ঘ. পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটে এবং এ শিল্প থেকে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
ঙ. শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা এসব ঐতিহ্য থেকে জ্ঞান আহরণ করেন এবং গবেষকেরা তাঁদের গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান।
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা