যতিচিহ্ন: অধ্যায় ৩
আমরা কথা বলার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকি। বাক্যের অর্থ প্রকাশের জন্য বাক্যের মাঝখানে মাঝেমধ্যে থামতে হয়। এই থামার নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয় কিছু চিহ্ন। বাক্যের অর্থকে সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপনের জন্য বাক্যের মধ্যে বা শেষে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে।
এগুলোকে বিরামচিহ্ন বা ছেদচিহ্নও বলা হয়। প্রশ্ন, আবেগ (আনন্দ, দুঃখ, ভয়, ঘৃণা বা বিষাদ) প্রকাশক বাক্য বোঝানোর জন্য এসব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়৷ যতিচিহ্নগুলোর আলাদা আলাদা আকৃতি আছে। যেমন: দাঁড়ি (।), কমা (,), সেমিকোলন (;), প্রশ্নচিহ্ন (?), বিস্ময়চিহ্ন (!), হাইফেন (–), কোলন (:) ইত্যাদি।
যতিচিহ্নের কাজ
১. দাঁড়ি (। ): বাক্যের সমাপ্তি বা পূর্ণ বিরতি বোঝাতে বাক্যের শেষে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ ব্যবহৃত হয়। যেমন: সে খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফিরল। বাংলায় লেখা স্টিকার এই প্রথম দেখলাম।
২. প্রশ্নচিহ্ন বা জিজ্ঞাসাচিহ্ন (?): প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা বোঝাতে প্রশ্নচিহ্ন বা জিজ্ঞাসাচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: সে কখন এসেছে? কেন বোন পারুল ডাকোরে?
৩. বিস্ময়চিহ্ন (!): মনের আবেগ, যেমন ভয়, ঘৃণা, আনন্দ ও দুঃখ ইত্যাদি প্রকাশ করতে এবং সম্বোধন পদের পর বিস্ময়চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: বাহ! তুমি তো চমৎকার ছবি আঁকো। ওমা! কী হলো চুড়িটার?
৪. কমা (, ): বাক্যের মধ্যে অল্প বিরতির জন্য কমা ব্যবহৃত হয়। যেমন: সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে। আমার পছন্দের ফুল গোলাপ, বেলি, জুঁই আর হাসনাহেনা। সুমি, এদিকে এসো। নিপা, এদিকে তাকাও।
৫. সেমিকোলন (;): ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক আছে, এমন দুটি বাক্যের মাঝখানে সেমিকোলন বসে। যেমন: তিনি এলেন; তবে বেশিক্ষণ বসলেন না।
আমিনুল ইসলাম, প্রভাষক, উত্তরা মডেল স্কুল, ঢাকা