সংক্ষেপে জেনে রাখি - সৌরশক্তি, গরান বনভূমি, চিরহরিৎ অরণ্য, ক্রান্তীয় পাতাঝরা অরণ্য
সৌরশক্তি
আমরা সূর্য থেকে প্রতিদিন যে প্রাকৃতিক আলো অনায়াসে পাই, তাকে সৌরশক্তি বলে। সৌরশক্তি অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ সম্পদ থেকে আমরা বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে পারি। খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ নানা ক্ষেত্রে সৌরশক্তি ব্যবহার করে আমরা আরও উন্নতি লাভ করতে পারি।
গরান বনভূমি
বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাংশে নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলার উপকূলে জোয়ার–ভাটার লোনা ও ভেজা মাটিতে যেসব উদ্ভিদ জন্মায়, তাদের স্রোতজ বা গরান বনভূমি বলা হয়। এ ধরনের উদ্ভিদ প্রধানত সুন্দরবনে বেশি জন্ম নেয়। স্যাঁতসেঁতে লোনা পানিতে সুন্দরী, গেওয়া, পশুর, ধুন্দল, কেওড়া, বায়েন, গরান ইত্যাদি বৃক্ষ জন্মায়। বাংলাদেশে মোট ৪,১৯২ বর্গকিলোমিটার স্রোতজ বা গরান বনভূমি রয়েছে।
চিরহরিৎ অরণ্য
উষ্ণ ও আর্দ্র ভূমির কারণে বাংলাদেশে চিরহরিৎ অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। উষ্ণ ও আর্দ্র ভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা জন্ম নেয়। এসব গাছের পাতা একসঙ্গে ফোটে না, ঝরেও না। ফলে বনগুলো সারা বছর সবুজ থাকে। বাংলাদেশের দক্ষিণ–পূর্ব ও উত্তর–পূর্ব অংশের পাহাড়ি অঞ্চলে এরূপ বনভূমি অধিক মাত্রায় দেখা যায়। ওপরের ছবিটি অরণ্য বাংলাদেশের একটি চিরহরিৎ অরণ্য এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য রেমা–কালেঙ্গার।
ক্রান্তীয় পাতাঝরা অরণ্য
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, দিনাজপুর ও রংপুর জেলা পাতাঝরা অরণ্যের অঞ্চল। এই বনভূমিতে বছরে একবার গাছের পাতা সম্পূর্ণ ঝরে যায়। এ বনভূমিতে শালগাছ প্রধান বৃক্ষ, তাই এ বনকে শালবন হিসেবেও অভিহিত করা হয়। ওপরের ছবিটি একটি শাল বনের।