তত্ত্ব ও তথ্যে কিভাবে জোর দিবে?
প্রিয় পরীক্ষার্থী, সমাজকর্ম ১ম ও ২য় পত্র দুটিতেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হবে।
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে উদ্দীপকটি অবশ্যই ভালোভাবে পড়তে হবে।
উদ্দীপকটি মৌলিক, সম্পূর্ণ নতুন এবং বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে থাকে। সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিতে চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন।
জ্ঞানমূলক: এই প্রশ্নের নম্বর ১। এ পর্যায়ে প্রশ্নের ধরন হলো কী, কখন, কোথায়, কাকে বলে, সংজ্ঞা দাও—এসব শব্দের মাধ্যমে উত্তর অতি সংক্ষেপে এক বা দুই বাক্যে দেবে। যেমন: পেশা কাকে বলে? এর উত্তর: একটি নির্দিষ্ট শাখায় তাত্ত্বিক জ্ঞানার্জন ও ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন করে, সে জ্ঞানকে জীবনধারণের উপায় হিসেবে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাকে পেশা বলা হয়।
অনুধাবনমূলক: এই প্রশ্নের নম্বর ২। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দুই প্যারায় লেখার চেষ্টা করবে। প্রথম প্যারায় (জ্ঞানমূলক অংশ) যে বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে লিখবে। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবনের দিকটি স্পষ্ট করবে।
প্রয়োগমূলক: এই প্রশ্নে মোট নম্বর ৩। তাত্ত্বিক বিষয়টি জ্ঞানের দিক, প্রথম প্যারায় জ্ঞানের অংশের উত্তর লিখবে। প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করাই হলো অনুধাবন, দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখবে। সব শেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা বিশ্লেষণ করাই প্রয়োগ। প্রয়োগ অংশে প্রতীক, সারণি ও চিত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
উচ্চতর দক্ষতামূলক: উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৪। উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে উদ্দীপকের আলোকে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তার সপক্ষে তথ্য, তত্ত্ব, যুক্তি ও রেফারেন্সের ভিত্তিতে বিষয়টি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে হবে। তুলনামূলক বিচার-বিবেচনার ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থী তার নিজস্ব ও আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে পারছে কি না, তা-ই এই অংশের বিবেচ্য বিষয়।
সঠিকভাবে উত্তর দিতে পাঠ্যবইয়ের ওপর ভালো ধারণা থাকতে হবে। সে জন্য পাঠ্যবইটি বুঝে পড়বে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি অধ্যায়ে সমাজবিজ্ঞানীর নাম, সংজ্ঞা, সাল, বৈশিষ্ট্য, পটভূমি প্রভৃতি খুব ভালো করে পড়তে হবে।
মাহমুদ আমিন, প্রভাষক, যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, যশোর