সংক্ষেপে জেনে রাখি - নিরক্ষরেখা, ট্রপোমণ্ডল, বায়ুর আর্দ্রতা, গারো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী
নিরক্ষরেখা
গোলাকার পৃথিবীর পৃষ্ঠদেশের ঠিক মাঝ বরাবর যে রেখা পূর্ব–পশ্চিমে সমগ্র পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, তাকে নিরক্ষরেখা বলে। একে মহাবৃত্তও বলা হয়। নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। নিরক্ষরেখার অপর নাম বিষুবরেখা, এটি ০ ডিগ্রি অক্ষরেখা।
ট্রপোমণ্ডল
এই স্তর বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তর। এটি ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে লেগে আছে। মেঘ, বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, বায়ুপ্রবাহ, ঝড়, শিশির, কুয়াশা সবকিছুরই সৃষ্টি হয় এই স্তরে। এ স্তর ভূপৃষ্ঠ থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ১৬–১৯ কি.মি. এবং মেরু অঞ্চলে ৮ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত।
বায়ুর আর্দ্রতা
বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিকে বা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসকে বায়ুর আর্দ্রতা বলা হয়। বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে তাকে আর্দ্র বায়ু বলে, এবং কম থাকলে তাকে শুষ্ক বায়ু বলা হয়। বায়ুর আর্দ্রতা হাইগ্রোমিটার দিয়ে পরিমাপ করা হয়।
গারো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী
ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে গারোরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এরা সাধারণত ‘মান্দি’ নামে নিজেদের পরিচয় দিতে পছন্দ করে। এদের সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। আদি ধর্মের নাম ‘সাংসারেক’। প্রধান দেবতার নাম ‘তাতারা রাবুগা’। বাংলাদেশে এদের ভাষা ‘আচিক খুসিক’।