ভাষিক যোগাযোগ অভাষিক যোগাযোগ
মানুষ নানা প্রয়োজনে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে। এই যোগাযোগ মূলত দুইভাবে হয়:
১. ভাষিক যোগাযোগ: শোনা, বলা, পড়া ও লেখা- এই চারটি প্রধান রূপের মাধ্যমে ভাষিক যোগাযোগ সংঘটিত হয়।
২. অভাষিক যোগাযোগ: ইশারা, অঙ্গভঙ্গি, হাতের স্পর্শ, সংকেত ইত্যাদির মাধ্যমে অভাষিক যোগাযোগ সংঘটিত হয়।
প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগ
পাঠ্যবইয়ের ৯ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লিখিত বর্ণনা পড়ে কী বুঝলাম?
১. প্রশ্ন: সোমা আপা ক্লাসে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন?
উত্তর: সোমা আপা ক্লাসে স্কুলের নোটিশ বোর্ডে দেওয়া বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা–বিষয়ক নোটিশের কথা বলছিলেন।
২. প্রশ্ন: সোহেল কেন পলাশের কথায় বিরক্ত হয়েছিল?
উত্তর: ক্রিকেট খেলার দল গঠনের সময়ে পলাশ বারবার সোহেলকে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রশ্ন করছিল। এ জন্য সোহেল তার কাজে মনোযোগ দিতে পারছিল না। তাই সে বিরক্ত হয়েছিল।
৩. প্রশ্ন: পলাশ যা জানতে চাচ্ছিল, তা আর কোন উপায়ে সে জানতে পারত?
উত্তর: পলাশ যা জানতে চাচ্ছিল তা অফ-পিরিয়ডে বা ছুটির সময়ে জানতে পারত।
৪. প্রশ্ন: সোহেল কীভাবে পলাশকে প্রসঙ্গের মধ্যে আনার চেষ্টা করতে পারত?
উত্তর: সোহেল পলাশকে ক্রিকেটের দল গঠনের কাজটি যে সেই মুহূর্তে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝিয়ে বলতে পারত। এর সাথে ক্রিকেটের দল গঠনবিষয়ক প্রাসঙ্গিক কথা বলতে অনুরোধ জানাতে পারত।
৫. প্রশ্ন: পলাশ কীভাবে সোহেলের কথা বললে তা প্রাসঙ্গিক হতো?
উত্তর: পলাশ ক্রিকেটের দল গঠনের ব্যাপারে সোহেলের সাথে কথা বললে তা প্রাসঙ্গিক হতো। যেমন বন্ধুদের মধ্যে কারা ক্রিকেটে ভালো ব্যাটিং করে, ভালো বোলিং করে, কাকে দলে নেওয়া যায় ইত্যাদি।
৬. প্রশ্ন: প্রসঙ্গের মধ্যে থেকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোন কোন দিক বিবেচনায় রাখতে হয় বলে তুমি মনে করো?
উত্তর: নির্দিষ্ট কোনো বিষয় বা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনা করা, ব্যক্তিগত প্রশ্ন আলোচনায় না আনা, একই কথার পুনরাবৃত্তি না করা ইত্যাদি।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা