সংকল্প
প্রশ্ন: প্রদত্ত শব্দগুলো দিয়ে বাক্য তৈরি করো।
মরণ-যন্ত্রণা, ডুবুরি, দুঃসাহসী, চন্দ্রলোক, অচিনপুর, ফেড়ে।
উত্তর
প্রদত্ত শব্দ বাক্য রচনা
মরণ-যন্ত্রণা: যারা সাহসী, তারা মরণ-যন্ত্রণাকে ভয় পায় না।
ডুবুরি: ডুবুরি মেঘনা নদীর তলদেশে নিমজ্জিত লঞ্চটি উদ্ধার করেছেন।
দুঃসাহসী: দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন।
চন্দ্রলোক: মানুষ এখন চন্দ্রলোক ছাড়িয়ে মঙ্গল গ্রহেও যাত্রা শুরু করছেন।
অচিনপুর: দাদু আমাকে অচিনপুরের রাজকন্যার গল্প শুনিয়েছেন।
ফেড়ে: কাঠুরে কুড়াল দিয়ে কাঠ ফেড়ে ফেলল।
প্রশ্ন: কবি বদ্ধ ঘরে থাকতে চান না কেন?
উত্তর: অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার কৌতূহল মানুষের সব সময়। কবিও এর ব্যতিক্রম নন। তিনি বদ্ধ ঘরে থাকতে চান না। কারণ, তিনি জগতের সমস্ত রহস্য জানতে চান। তিনি জানতে চান, সারা বিশ্বের মানুষ যুগ যুগ ধরে কীভাবে নতুন নতুন আবিষ্কারের নেশায় মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে এগিয়ে চলছে। সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে ডুবুরি কীভাবে মুক্তা সংগ্রহ করে কিংবা দুঃসাহসী বৈমানিক কীভাবে আকাশে পাড়ি জমায়—এ সবকিছুই কবি জানতে চান। কবি বদ্ধ ঘরে থাকতে চান না। বদ্ধ ঘরে আবদ্ধ না থেকে কবি রহস্যঘেরা বিশ্বজগত্টাকে হাতের মুঠোয় পুরে দেখতে চান।
প্রশ্ন: যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে মানুষ ঘুরছে বলতে কী বোঝো লেখো।
উত্তর: ‘যুগান্তর’ শব্দটির অর্থ হলো এক যুগের পর আরেক যুগ। সময়ের হিসেবে ১২ বছরে এক যুগ হয়।
আপন গতিতে এগিয়ে যেতে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয় পৃথিবীর অনেক কিছু। নতুন নতুন রহস্য ও ঘটনার সৃষ্টি হয়। সময়ের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও এগিয়ে চলে রহস্য অনুসন্ধান ও ঘটনার মূল উদ্ঘাটনের জন্য। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের এই এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতাকে বোঝানোর জন্যই বলা হয়েছে যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে মানুষ ঘুরছে।
প্রশ্ন: চন্দ্রলোকের অচিনপুরে কারা যেতে চায়?
উত্তর: ‘চন্দ্রলোক’ কথাটির অর্থ হলো চাঁদের দেশ। বিশ্বের মানুষের কাছে এই দেশ একটি অজানা-অচেনা জায়গা। অজানা-অচেনা জায়গা সম্পর্কে মানুষ চিরকালই কৌতূহলী। আর এই কৌতূহলী মানুষই চন্দ্রলোকের অচিনপুরে যেতে চায়। পৃথিবীর এই দুঃসাহসী মানুষ হাউই চড়ে চন্দ্রলোকের অচিনপুর অভিযান সফল করতে চায়। জানতে চায় অচিনপুর চন্দ্রলোকের অজানা সব রহস্য।
খন্দকার আতিক, িশক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা