প্রিয় পরীক্ষার্থী, রসায়ন ২য় পত্র পরীক্ষার জন্য চারটি অধ্যায়ের নির্বাচিত অংশগুলো আয়ত্তে এনে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
প্রথম অধ্যায় অর্থাৎ পরিবেশ রসায়নের খুঁটিনাটি বিষয়সমূহ, যেমন বাস্তব গ্যাস, আদর্শ গ্যাস, অনুবন্ধী অ্যাসিড, ক্ষারক এবং বিভিন্ন মতবাদে অ্যাসিড–ক্ষারকের ব্যাখ্যা সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য তৈরি রাখবে। গ্রাহামের সূত্র প্রয়োগ করে ব্যাপনের হার বের করার সময় R এর মান ও গ্যাসের গতিশক্তি নির্ণয়ের জন্য R এর মান কিন্তু এক নয়। R এর ভিন্ন ভিন্ন মান বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে।
জৈব যৌগ রসায়ন দ্বিতীয় পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়। এ অধ্যায় নিয়ে অনেকের ভয় থাকে। ভয় পেলে চলবে না। নির্ধারিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য অবশ্যই সচেষ্ট থাকতে হবে। যেমন রেজোন্যান্স কাঠামো দেওয়ার জন্য ইলেকট্রনগুলোর সঠিক অবস্থান সঠিকভাবে দিতে হবে। প্রতিটি বিক্রিয়ার উপযুক্ত তাপমাত্রা, চাপ ও প্রভাবক উল্লেখ করতে হবে।
তৃতীয় অধ্যায় অর্থাৎ পরিমাণগত রসায়ন অধ্যায়ের জন্য কোনো দ্রবণের ঘনমাত্রা শতকরায় দেওয়া থাকলে তার আগে মোলারিটিতে নিয়ে অতঃপর ppm এককে রূপান্তর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে উক্ত দ্রবের আণবিক ভর জানা জরুরি। মোলার ঘনমাত্রা অনেকে ছোট হাতের m দিয়ে প্রকাশ করে। এ ক্ষেত্রে বড় হাতের M হবে। মিশ্রিত দ্রবণের প্রকৃতি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ₚH এর মান নির্ণয় করা অত্যাবশ্যক নয়, যদি ₚH এর সাপেক্ষে বের করতে বলে, তাহলে তা করতে হবে। অ্যাসিড ও ক্ষারের পরিমাণের সাপেক্ষে বের করলে চলবে।
চতুর্থ অধ্যায়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি চার্জের মানের সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের পরিমাণ উল্লেখ করবে। জমাকৃত ধাতুর পরিমাণ বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট ধাতুর পারমাণবিক ভর ও যোজ্যতা জানা জরুরি। কোষ প্রকাশ করার সঠিক নিয়ম জানতে হবে, লবণ সেতুতে কোন লবণ ব্যবহৃত হয়, তা–ও মনে রাখতে হবে। সক্রিয়তা সিরিজে কোন ধাতুর অবস্থান কোথায়, তা জানাও জরুরি। নার্নস্টের সমীকরণ ব্যবহার করলে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার সমতা না করে নিলে অঙ্ক ভুল হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দ্রবণসমূহের ঘনমাত্রাও মনোযোগ দিয়ে দেখবে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য অবশ্যই পুরো প্রশ্নটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেবে।
তাপসী বণিক, সহযোগী অধ্যাপক, কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, ঢাকা