অধ্যায় ৫
১০. প্রশ্ন: মানবসম্পদ উন্নয়নের তিনটি উপায় লেখো।
উত্তর: মানবসম্পদ উন্নয়নের তিনটি উপায় হলো:
১. শ্রমশক্তি রপ্তানি
২. মৌলিক শিক্ষার উন্নয়ন
৩. বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি।
১১. প্রশ্ন: শ্রমশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি?
উত্তর: একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হলো দক্ষ জনশক্তি। আমাদের শ্রমশক্তির দক্ষতা বাড়াতে পারলে এই বিশাল জনগোষ্ঠী জনসম্পদে রূপান্তরিত হবে। পৃথিবীর বহু দেশে মূলধন ও প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও শ্রমশক্তির অভাব রয়েছে। সেই সব দেশে আমাদের শ্রমশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে আমরা নানাভাবে উপকৃত হতে পারি। যেমন—
১. দক্ষ জনসম্পদ রপ্তানির মাধ্যমে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ আছে।
২. তাঁদের উপার্জিত অর্থ পরিবারের আর্থিক চাহিদা পূরণ করছে।
৩. বিদেশে কর্মরত শ্রমশক্তির উপার্জিত অর্থ দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে।
৪. জনশক্তির বিরাট একটা অংশ বিদেশে কর্মরত থাকার ফলে দেশে খাদ্যের ওপর চাপ কিছুটা লাঘব করছে।
৫. বিদেশে কর্মরত শ্রমশক্তির পাঠানো টাকায় দেশে কলকারখানা, স্কুল, দালান ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে।
১২. প্রশ্ন: কারিগরি প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি?
উত্তর: একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হলো দক্ষ জনশক্তি। দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমেই মূলধন ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা সম্ভব। বাংলাদেশের মূলধন কম হলেও প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনসম্পদে সমৃদ্ধ। এ দেশের অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। কারিগরি প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদ গঠনের কয়েকটি উপায়:
১. সরকারি সহায়তায় বৃত্তিমূলক কর্মসূচির ব্যবস্থা করা।
২. কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
৩. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ শ্রমশক্তি নতুন কোনো শিল্পের বিকাশে সহায়তা করতে পারে। যেমন যন্ত্রপাতি শিল্প।
৪. কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনসম্পদ বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ আছে।
৫. আমাদের দক্ষ শ্রমিকদের বিদেশে আরও উন্নত প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজের দেশের শিল্পের উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে নিয়োজিত করা যেতে পারে।
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা