সপ্তম শ্রেণির নতুন বই - ডিজিটাল প্রযুক্তি | শিখন অভিজ্ঞতা ৬ - বন্ধু নেটওয়ার্কে ভাব বিনিময় (পর্ব - ২)

নেটওয়ার্ক টাওয়ার হলো বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন (বিটিএস)। এটি মোবাইল ডিভাইসে রেডিও সিগন্যাল পাঠায় ও গ্রহণ করে।

সার্ভার হলো এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম, যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারকে সেবা প্রদান করে। সার্ভারের প্রধান কাজ হলো, ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য প্রদান করা। অর্থাৎ নেটওয়ার্কের ব্যবহারকারীরা যেসব তথ্য জানতে চান, সেগুলো সঠিকভাবে প্রদান করা হলো সার্ভারের কাজ।

কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটার থেকে যে সেবা গ্রহণ করে তাকে ক্লায়েন্ট বলে।

রাউটার হলো একধরনের নেটওয়ার্ক ডিভাইস। রাউটারের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সঙ্গে আরেকটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সংযোগ স্থাপন করা হয়। রাউটার তারযুক্ত ও তারবিহীন উভয়ই হতে পারে। মূল কাজ হলো নেটওয়ার্কের কোন তথ্য কার কাছে যাবে, সেটার ব্যবস্থা করা।

স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে থাকে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণে এটি ঘোরে, তাই এটিকে মহাকাশে রাখার জন্য কোনো জ্বালানি বা শক্তি খরচ করতে হয় না। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কিমি ওপরে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে রাখতে হয়।

জিপিএসের পূর্ণরূপ হলো গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা উপগ্রহভিত্তিক যোগাযোগব্যবস্থা। যেকোনো আবহাওয়ায় সময়ের সঙ্গে পৃথিবীর যেকোনো স্থির বা চলমান বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা এটির প্রধান কাজ।

এনকোড বলতে বোঝায় গোপনে বার্তা পাঠানোর জন্য একটি সহজ তথ্যকে জটিল তথ্য আকারে উপস্থাপনের জন্য কিছু পরিবর্তন করা। অর্থাৎ যার কাছে বার্তা প্রেরণ করা হয়, তার বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করাকে এনকোড বলে।

এনকোড করা কোনো বার্তা বা তথ্যকে পুনরায় আগের রূপে রূপান্তরিত করাকে ডিকোড বলে। যেমন এনকোড করা কোনো বার্তা বা তথ্য আমরা বন্ধুর কাছে পাঠালাম, বন্ধু সেই বার্তা প্লেইন টেক্সটে অর্থাৎ বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে এটির অর্থ বুঝবে, তখনই তাকে ডিকোড করা বলে।

প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা