সংক্ষেপে জেনে রাখি - জোগান, শ্রমের সচলতা, হোয়াইট গোল্ড, পারমাণবিক ব্যাসার্ধ

জোগান

উৎপাদক বা বিক্রেতা বিভিন্ন দামে দ্রব্যের যে বিভিন্ন পরিমাণ বিক্রয় করতে ইচ্ছুক, তাকেই অর্থনীতির ভাষায় জোগান বলে। এখানে বিবেচ্য বিষয় হলো, একটি নির্দিষ্ট সময় ও একটি নির্দিষ্ট দাম।

'যোগান ও চাহিদা' শব্দগুচ্ছ সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন জেমস ডানহ্যাম স্টুয়ার্ট তার ১৭৬৭ সালে প্রকাশিত 'রাজনৈতিক অর্থনীতির কার্যকারণ অনুসন্ধান' বইটিতে। ১৭৭৬ সালে অ্যাডাম স্মিথ তার 'জাতিসমূহের সম্পদ' বইটিতে এবং ডেভিড রিকার্ডো তার 'রাজনৈতিক অর্থনীতির কার্যকারণ ও করারোপ' বইটিতেও এই শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন।

আরও পড়ুন

শ্রমের সচলতা

শ্রম একটি গতিশীল উপাদান। শ্রমের একটি বৈশিষ্ট্য হলো শ্রমের সচলতা, যাকে ইংরেজিতে বলে Labor Mobility অথবা Worker Mobility। একই অর্থনৈতিক খাত ও অঞ্চল এবং ভিন্ন ভিন্ন অর্থনৈতিক খাত ও অঞ্চলের মধ্যে শ্রমিকের চলাচলকেই শ্রমের সচলতা বলে।

তবে ভৌগোলিক বাধা, ভাষা ও সংস্কৃতির পার্থক্য, পরিবহন ব্যয় ইত্যাদি শ্রমিকের চলাচলের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে।

আরও পড়ুন

হোয়াইট গোল্ড

বাংলাদেশ বিদেশে চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। তাই চিংড়িকে ‘সাদা সোনা’ বা ‘হোয়াইট গোল্ড’ বলা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বের মোট চিংড়ির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ উত্পাদিত হচ্ছে, তবে বছরভেদে এর পরিমান ওঠানামা করে।

২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের চিংড়ি রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪০ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের ৪ হাজার ১৫৪ কোটি টাকার মতো। এ জন্য চিংড়ি খাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন

পারমাণবিক ব্যাসার্ধ

পরমাণুর নিউক্লিয়াস থেকে বহিঃস্থ ইলেকট্রনের কক্ষের দূরত্বকে বলা হয় পারমাণবিক ব্যাসার্ধ (ইংরেজিতে বলে Atomic Radius)। কিন্তু এই ব্যাসার্ধ সরাসরি পরিমাপ করা অসম্ভব। কারণ, পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বাইরে ইলেকট্রনের সঠিক অবস্থান কখনো সরাসরি পরিমাপ করা যায় না।

আরও পড়ুন