অধ্যায় ৩
প্রতিশব্দ
বাংলায় বিভিন্ন শব্দ একই বা প্রায় একই অর্থ প্রকাশ করে। এজন্য অনেক সময় দেখা যায়, বিভিন্ন বাক্যে একই অর্থ প্রকাশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করা হয়। এগুলোকে প্রতিশব্দ বলে।
যেমন: পাখিরা আকাশে উড়ছে; বিহঙ্গরা গগনে উড্ডীন।
বাক্য দুটি একই অর্থ প্রকাশ করছে, কিন্তু প্রতিটি শব্দের রূপগত পার্থক্য আছে। অর্থাৎ যেসব শব্দের অর্থ প্রায় সমান বা অনুরূপ তাকে প্রতিশব্দ বলে।
একে সমার্থক শব্দও বলা হয়। রচনার মাধুর্য সৃষ্টির জন্য একটি অর্থকেই বিভিন্ন বাক্যে বিভিন্ন শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
এবার কিছু মূল শব্দ ও তার প্রতিশব্দ দেখে নাও:
অনেক: বেশি, বহু, প্রচুর, অধিক, অত্যন্ত।
অন্ধকার: আঁধার, তিমির, তমঃ, তমিস্র, আন্ধার।
অলকা: স্বর্গ, বেহেশত, সুরলোক, অমরাবতী, দ্যুলোক, দেবলোক।
আকাশ: গগন, শূন্য, নভ, অম্বর, ব্যোম।
আগুন: অগ্নি, অনল, পাবক, বহ্নি, বায়ুসখা, বৈশ্বানর, সর্বভুক, হুতাশন।
কন্যা: মেয়ে, দুহিতা, ঝি।
কপাল: ভাল, ললাট
কাঁধ: অংস, কন্ধ, ঘাড়, পুট, স্কন্ধ।
কান: কর্ণ, শ্রবণেন্দ্রিয়, শ্রুতি, শ্রুতিপথ, শ্রোত্র।
কূল: কিনার, কিনারা, তট, তটভূমি, তীর, পাড়।
গলা: কণ্ঠ, গলদেশ, গ্রীবা, কণ্ঠদেশ, গল।
গাছ: উদ্ভিদ, তরু, বৃক্ষ, পাদপ, পল্লবী, বনস্পতি, বিটপী, মহিরুহ, দ্রুম।
গাল: কপোল, গণ্ডদেশ, গণ্ড, গণ্ডলেখা।
ঘর: গৃহ, বাড়ি, আলয়, আবাস, নিকেতন, নিবাস, নিলয়।
চাঁদ: ইন্দু, চন্দ্র, নিশাকর, বিধু, শশধর, শশাঙ্ক, শশী, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু।
চোখ: নয়ন, অক্ষি, আঁখি, চক্ষু, দর্শনেন্দ্রিয়, নেত্র, লোচন।
জিভ: জিব, জিহ্বা, রসনা, রসনেন্দ্রিয়, আস্বাদনী।
ঢেউ: তরঙ্গ, লহরি, ঊর্মি, কল্লোল, হিল্লোল, উল্লোল।
তারা: তারকা, নক্ষত্র, সেতারা, ঋক্ষ, জ্যোতিষ্ক।
তৈরি: গঠন, নির্মাণ, গড়া, বানানো, প্রস্তুত।
দাঁত: দন্ত, দন্তক, দশন, রদ।
দিন: দিবস, দিবা, বার, রোজ, অহ, অহ্ন।
আমিনুল ইসলাম, প্রভাষক, উত্তরা মডেল স্কুল, ঢাকা