এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্রের ব্যাকরণ অংশে ১৫ নম্বর ও নির্মিতি অংশে ৩৫ নম্বর। মোট ৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।
ব্যাকরণ অংশ: ব্যাকরণ অংশ থেকে তিনটি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে, নম্বর ১৫। প্রথম প্রশ্নে অ-ধ্বনি / এ-ধ্বনি / ব-ফলা / ম- ফলা / য-ফলার উচ্চারণের যেকোনো ৫টি নিয়ম লিখতে বলবে। এর বিকল্প থাকবে বাংলা বানানের নিয়মরীতি ও শুদ্ধ বানান। যেখানে বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের ৫টি নিয়ম লিখতে বলতে পারে অথবা ৫টি ভুল বানান শুদ্ধ করতে বলতে পারে। বানান শুদ্ধিকরণ নিশ্চিতভাবে পারলে সেটার উত্তর করাই ভালো। তবে তুমি উচ্চারণ বা বানান যে নিয়ম লিখ না কেন, অবশ্যই নিয়মের সঙ্গে ১টি/২টি করে উদাহরণ দিতে ভুলবে না।
দ্বিতীয় প্রশ্নে বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দ শ্রেণির বিশেষ্য, বিশেষণ, ক্রিয়াপদ বা আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ–সম্পর্কিত বর্ণনামূলক প্রশ্ন থাকতে পারে অথবা প্রদত্ত অনুচ্ছেদ থেকে উক্ত ব্যাকরণিক শব্দ শ্রেণি নির্ণয় করতে বলতে পারে। তৃতীয় প্রশ্নে বাক্য, সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্যসমূহ ও বাক্যের শ্রেণিবিভাগ থেকে বর্ণনামূলক প্রশ্ন থাকবে।
নির্মিতি অংশ: নির্মিতি অংশে ১টি ইংরেজি অনুচ্ছেদের বঙ্গানুবাদ করতে বলবে অথবা ৫টি ইংরেজি শব্দের পারিভাষিক রূপ লিখতে বলবে। পারিভাষিক শব্দের উত্তর করাই ভালো।
দুর্দান্ত সংলাপ লিখতে হলে প্রথমেই একটি চরিত্রকে উক্ত বিষয় সম্পর্কে অধিক তথ্যসমৃদ্ধ ও ইতিবাচক হিসেবে ধরতে হবে এবং অপর চরিত্রটি উক্ত বিষয় সম্পর্কে কম তথ্যসমৃদ্ধ ও অনেকটা নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।
আবেদনপত্র থেকে ১টি ও প্রতিবেদন রচনা থেকে ১টি করে মোট ২টি প্রশ্ন থাকবে। যেকোনো ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তোমরা হয়তো জানো, বিভিন্ন বিষয়/প্রসঙ্গে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন ধরনের আবেদনপত্র লিখতে হয়। আবেদনপত্রের মূল বিষয়- তুমি যে বিষয়ে আবেদন করছ, সেটি তথ্য-উপাত্তের সাহায্যে যুক্তিগ্রাহ্য করে মানবিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
সারাংশ/সারমর্ম থেকে ১টি ও ভাবসম্প্রসারণ থেকে ১টি করে মোট ২টি প্রশ্ন থাকবে, নম্বর ১০। যেকোনো ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সাধারণত গদ্যে লিখিত কোনো উদ্ধৃতির মূলভাব লিখনকে সারাংশ এবং কবিতায় লিখিত কোনো উদ্ধৃতির মূলভাব লিখনকে সারমর্ম বলে। সারাংশ/ সারমর্ম লেখার কতগুলো সাধারণ সূত্র রয়েছে।
সবশেষে থাকবে সংলাপ থেকে ১টি ও খুদে গল্প রচনা থেকে ১টি করে মোট ২টি প্রশ্ন। যেকোনো ১টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
সমসাময়িক কোনো বিষয় নিয়ে শিক্ষক-ছাত্র বা দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা করতে হয়। দুর্দান্ত সংলাপ লিখতে হলে প্রথমেই একটি চরিত্রকে উক্ত বিষয় সম্পর্কে অধিক তথ্যসমৃদ্ধ ও ইতিবাচক হিসেবে ধরতে হবে এবং অপর চরিত্রটি উক্ত বিষয় সম্পর্কে কম তথ্যসমৃদ্ধ ও অনেকটা নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। নাটকের গঠন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকলে দারুণ সংলাপ রচনা করা যায়। সংলাপের বিকল্প থাকে খুদে গল্প রচনা। এ ক্ষেত্রে কোনো ঘটনার সূত্রপাত দেওয়া হতে পারে অথবা কোনো বিষয় বা প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকতে পারে। যেটাই থাকুক না কেন, তোমাকে ছোটগল্পের মতো করে কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কাহিনির প্রয়োজনে চরিত্র সৃষ্টি, সংলাপের মধ্য দিয়ে চরিত্রের বিকাশ, কাহিনির অতৃপ্তিসূচক সমাপ্তি, সুন্দর একটি শিরোনাম খুদে গল্পের জন্য অপরিহার্য।
মো. হুমায়ূন কবীর, প্রভাষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা