ডিজিটাল প্রযুক্তি - নবম শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রম নতুন বই

অষ্টম শ্রেণির পড়াশোনা

শিখন অভিজ্ঞতা–১

সেশন-১: সত্য অনুসন্ধান

ঘটনা–৩

জ্যোতি নবম শ্রেণিতে পড়ে। একদিন বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরলে জ্যোতির মা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নবম-দশম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ দেওয়া হবে, ইউটিউবে একটি সংবাদে তিনি দেখেছেন। ওই সংবাদে কীভাবে ল্যাপটপের জন্য আবেদন করতে হবে সেটিও বলেছে। সংবাদটি দেখল, বুঝতে পারল বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি টেলিভিশনের সংবাদ। জ্যোতির মনে কোনো সন্দেহ থাকল না, সেসব ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে ই–মেইল করল। এক দিন পর এক ব্যক্তি জ্যোতির মাকে ফোন করল এবং জানাল ল্যাপটপ পাঠাতে কুরিয়ার খরচ হিসেবে কিছু টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠালে তারা ল্যাপটপ পাঠিয়ে দেবে। জ্যোতি মায়ের ফোন থেকে টাকা পাঠিয়ে দিল। কিন্তু এর পর থেকে সে ওই মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পেল এবং জ্যোতি বুঝতে পারল, সে প্রতারণার শিকার হয়েছে।

একটু চিন্তা করে বলি তো, অসাধু ওই লোকটি ইউটিউবের ওই টেলিভিশন সংবাদটিকে কীভাবে বিকৃত বা নকল করল?

আরও পড়ুন

ঘটনা–৪

অসাধু লোকটি টেলিভিশনের লোগো এডিট করে ইউটিউবে টেলিভিশনের খবর প্রচার করেছে। এ ধরনের ভুয়া খবর অহরহ ঘটছে। অন্যদিকে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মনে লোভ ভর করছে। এই লোভের কারণেই তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠায়। এর পর থেকেই প্রতারকেরা মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় তারা বুঝতে পারে যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে।

ঘটনা–৫

পলাশের বাবা তার সোশ্যাল মিডিয়ার মেসেজে একটি ছবি পেলেন, যেটি তারই এক বন্ধু তাকে পাঠিয়েছেন। ছবিটি আসলে দেশের স্বনামধন্য একটি পত্রিকার ছবি। পত্রিকার লোগো এবং কার্ড দেখে বোঝা যাচ্ছে, এটি আজই ওই পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। ছবির সংবাদটি একটি পাঠ্যবইয়ের ছবি নিয়ে। সংবাদে লেখা আছে, পাঠ্যবইতে অপ্রাসঙ্গিক ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠাটির ছবি সংবাদটিতে দেওয়া আছে। পলাশ নবম শ্রেণিতে পড়ে, স্বাভাবিকভাবেই পলাশের বাবার সংবাদটি পেয়ে মেজাজ খারাপ হলো। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই সংবাদ শেয়ার করলেন। তার অ্যাকাউন্ট থেকে তার পরিচিত আরও অনেকেই এটি শেয়ার করলেন। এক সপ্তাহ পর পলাশের বিদ্যালয়ের অভিভাবক সভায় পলাশের বাবা ব্যাপারটি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব জানালেন। প্রধান শিক্ষক জানালেন, খবরটি আসলে মিথ্যা এবং বিকৃত করা সংবাদ।

প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন