মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় উপাধি - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, অধ্যায় ১ | পঞ্চম শ্রেণি

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে বগুড়া স্টেডিয়ামে অস্ত্র সমর্পণের আগে সহযোদ্ধাদের সঙ্গে অস্ত্র হাতে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান (উপরের সারিতে বা থেকে চতুর্থ)ছবি: সংগৃহীত

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও

প্রশ্ন: মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় উপাধিগুলো কী কী?

উত্তর: মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় উপাধিগুলো হলো—

১. বীরশ্রেষ্ঠ, ২. বীর উত্তম, ৩. বীর বিক্রম ও ৪. বীর প্রতীক। 

প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম সরকার কোথায় এবং কবে গঠিত হয়?

উত্তর: বাংলাদেশের প্রথম সরকারের নাম ‘মুজিবনগর সরকার’। তত্কালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথ তলায় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল এ সরকার গঠিত হয়। 

প্রশ্ন: ‘মুজিবনগর’ সরকারের অন্যতম ২ জন সদস্যদের নাম লেখো।

উত্তর: মুজিবনগর সরকারের অন্যতম ২ জন সদস্য হলেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ও  অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী। 

প্রশ্ন: মুজিবনগর সরকারের প্রধান কাজগুলো লেখো?

উত্তর: মুজিবনগর সরকারের প্রধান কাজ ছিল মুক্তিযুদ্ধকে সঠিক পথে পরিচালনা করা এবং দেশে-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন ও সমর্থন আদায় করার ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করা। 

প্রশ্ন: মুক্তিবাহিনীকে কয়টি ব্রিগেড ফোর্সে ভাগ করা হয়েছিল এবং কী কী?

উত্তর: মুক্তিবাহিনীকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে ভাগ করা হয়েছিল। যথা—১. কে ফোর্স, ২. এস ফোর্স, ৩. জেড ফোর্স।

প্রশ্ন: মুক্তিবাহিনী কবে গঠিত হয় এবং এ বাহিনীর সেনাপতি কারা ছিলেন?

উত্তর: ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়। এ বাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী এবং উপপ্রধান সেনাপতি ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।

প্রশ্ন: মুক্তিফৌজ কতজন যোদ্ধা নিয়ে গঠিত হয় এবং এই মুক্তিফৌজ কাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে?

উত্তর: ৩০ হাজার নিয়মিত যোদ্ধাকে নিয়ে গঠিত হয় মুক্তিফৌজ। এক লাখ গেরিলা ও বেসামরিক যোদ্ধার সমন্বয়ে গঠিত মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিফৌজ যুদ্ধ করেছিল।

রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা