রসায়ন পরীক্ষার জন্য যেসব বিষয়গুলোয় গুরুত্ব দিতে হবে

রসায়নের পরীক্ষাটি পুরো সিলেবাসে হবে। থাকবে পদার্থের গঠন, পর্যায় সারণি, রাসায়নিক বন্ধন ও খনিজ সম্পদ: জীবাশ্ম। সৃজনশীল অংশে ৮টি প্রশ্ন থাকবে, ৫টির উত্তর দিতে হবে। বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকবে ২৫টি। ২৫টিরই উত্তর দিতে হবে।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে ব্যাপন, নিঃসরণ, ঊর্ধ্বপাতন, গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক ইত্যাদি বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।

পদার্থের গঠন অধ্যায়ে ইলেকট্রন, প্রোটন, শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস ভালো করে দেখে নেবে। পর্যায় সারণি অধ্যায়ের শ্রেণি নির্ণয় ও পর্যায় নির্ণয় ভালো করে পড়বে। রাসায়নিক বন্ধন অধ্যায়ে রাসায়নিক সংকেত সঠিক হতে হবে।

আণবিক ও গাঠনিক সংকেত ঠিক বুঝে নেবে। খনিজ সম্পদ অধ্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাস, পলিমার, হাইড্রোকার্বন, অ্যালডিহাইড ও অ্যালকোহলের ধর্ম ভালো করে পড়বে। একাদশ অধ্যায়ে সমীকরণ, কার্যকরীমূলক, পলিমারের ব্যবহার বেশি থাকে; তা মনোযোগসহ পড়বে। ষষ্ঠ অধ্যায়ে অঙ্ক বেশি থাকে, তা ভালো করে অনুশীলন করবে। লিমিটিং বিক্রিয়া, মোলার ঘনমাত্রা, অণুর সংখ্যা ইত্যাদি বের করতে গেলে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিক্রিয়ার সমতা যথাযথভাবে করতে হবে।

আরও পড়ুন

চতুর্থ অধ্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা, ইলেকট্রন বিন্যাস সঠিকভাবে জানা না থাকলে পর্যায় সারণিতে মৌলের অবস্থান নির্ণয় করা যাবে না। তাই এ দুটো বিষয়কে আয়ত্তে আনতে হবে।

পঞ্চম অধ্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সংকেত যেমন আণবিক ও গাঠনিক সংকেত লেখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরমাণু বা যৌগ মূলকের যোজনি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রসায়নে গাণিতিক সমস্যার সমাধান ঠিকমতো করবে। একক ঠিকমতো লিখবে। ভুল করলে নম্বর কিন্তু কাটা যাবে। বহুনির্বাচনিতে বেশি মনোযোগ দেবে।

একাদশ অধ্যায়ে জৈব ও অজৈব যৌগ, সমানতা, সমগোত্রীয় শ্রেণি, কার্যকরীমূলক, সমীকরণ সম্পকে৴ বিস্তারিত জানতে হবে।

# ফরমালিন, ভিনেগার, প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযুক্তি ও ব্যবহার সম্পকে৴ বিশেষ ধারণা রাখতে হবে। পলিমার, পিভিসি, পলিপ্রোপিন, পলিথিনের ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

# দ্বাদশ অধ্যায়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের নানা কিছু যেমন খাওয়ার লবণ, ভিনেগার, বেকিং পাউডার, সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন, ব্লিচিং পাউডারের প্রস্তুতি, ধর্ম ও ব্যবহার জানা জরুরি।

তাপসী বণিক, সহযোগী অধ্যাপক, কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, ঢাকা

আরও পড়ুন