প্রশ্ন: নাম বিশেষণ কাকে বলে। নাম বিশেষণের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ উল্লেখ করো।
উত্তর: যে বিশেষণ বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যেমন: সে মেধাবী ছাত্র, নীল আকাশের নিচে পথ চলেছি একা।
নাম বিশেষণকে নানা শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন:
ক. রূপবাচক: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ।
খ. গুণবাচক: চৌকস লোক, ঠান্ডা হাওয়া।
গ. অবস্থাবাচক: তাজা মাছ, রোগা ছেলে।
ঘ. সংখ্যাবাচক: হাজার লোক, পাঁচ দিন।
ঙ. ক্রমবাচক: প্রথম কন্যা, একাদশ শ্রেণি।
চ. পরিমাণবাচক: ৫ শতাংশ জমি, ১ কেজি চাল।
ছ. অংশবাচক: অর্ধেক সম্পত্তি, সিকি পথ।
জ. উপাদানবাচক: পাথুরে মূর্তি, বেলে মাটি।
ঝ. প্রশ্নবাচক: কত দূর পথ? কেমন অবস্থা?
ঞ. নির্দিষ্টতা জ্ঞাপক: এই মেয়ে, ১৬ ডিসেম্বর।
প্রশ্ন: ক্রিয়া বলতে কী বোঝো? অর্থ প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনো কিছু করা, থাকা, খাওয়া, যাওয়া প্রভৃতি কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন শিরিন হাসছে, সোহেল ছবি আঁকছে।
অর্থ প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া দুই প্রকার।
যথা: ক. অস্তিবাচক খ. নেতিবাচক।
ক. অস্তিবাচক: যে ক্রিয়া অস্তিবাচক বা হ্যাঁ–বাচক অর্থ প্রকাশ করে, তাকে অস্তিবাচক ক্রিয়া বলে। যেমন শামিমা কাঁদছে।
খ. নেতিবাচক ক্রিয়া: যে ক্রিয়া দ্বারা নেতিবাচক বা না-বোধক অর্থ প্রকাশ করা হয়, তাকে নেতিবাচক বা না-বোধক ক্রিয়া বলে। যেমন: রবি কলেজে যায়নি।
মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা