অধ্যায় ৩
২২. প্রশ্ন: মহাস্থানগড় কোথায় অবস্থিত? মহাস্থানগড়ের প্রাচীন নাম কী? এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো সম্পর্কে লেখো।
উত্তর: খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক থেকে ১৫০০ শতক বছরের বাংলার ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে মহাস্থানগড়। মহাস্থানগড়ের প্রাচীন নাম পুণ্ড্রনগর। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে মহাস্থানগড় অবস্থিত। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. চওড়া খাদবিশিষ্ট প্রাচীন দুর্গ।
২. প্রাচীন ব্রাহ্মী শিলালিপি
৩. মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় ভগ্নাবশেষ
৪. পোড়ামাটির ফলক, ভাস্কর্য, ধাতব মুদ্রা, পঁুতি
৫. ৩ দশমিক ৩৫ মিটার লম্বা ‘খোদাই পাথর’।
২৩. প্রশ্ন: কার শাসনামলে এবং কত খ্রিষ্টাব্দে পাহাড়পুর গড়ে ওঠে? এখানে কী কী নিদর্শন পাওয়া গেছে?
উত্তর: পাহাড়পুর ঐতিহাসিক নিদর্শনটি
৭৮১-৮২১ খ্রিষ্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে গড়ে ওঠে। পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। এখানে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে, এটি ‘সোমপুর মহাবিহার’ নামেও পরিচিত।
এই চমৎকার বৌদ্ধবিহারের চারপাশে ১৭৭টি ভিক্ষু কক্ষ আছে। এ ছাড়া এখানে মন্দির, রান্নাঘর, খাবারঘর ও পাকা নর্দমা আছে। এখানে পাওয়া গেছে জীবজন্তুর মূর্তি ও টেরাকোটা।
২৪. প্রশ্ন: ভিন্ন ভিন্ন সময়ের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর উল্লেখযোগ্য ঘটনার তালিকা প্রস্তুত করো।
উত্তর: বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার সময়কাল ও যা ঘটেছে, তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতক: মহাস্থানগড়ে মৌর্য সভ্যতার আবির্ভাব ঘটে, যা তখন পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল।
৮০০ সাল: পাল রাজা ধর্মপালের শাসনকালে পাহাড়পুর প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ময়নামতিও এ সময় বৌদ্ধসভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়।
১৬২৮ সাল (সতেরো শতকে): সোনারগাঁ প্রাচীন বাংলার মুসলমান সুলতানদের রাজধানী এবং লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করা হয়।
১৮৩০ সাল: আহসান মঞ্জিল, পানামনগর গড়ে ওঠে।
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা