মেসিরা যখন ভিডিও গেম খেলেন
করোনাভাইরাসের প্রকোপে যখন মাঠের ফুটবল বন্ধ ছিল, তখন ভিডিও গেমে মেতে ওঠেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার সার্জিও আগুয়েরো।
গেম খেলার ভিডিও ভক্তদের জন্য নিয়মিত প্রচারও করতেন। একদিন এমন লাইভ ভিডিও চলছে, তাঁর সঙ্গে যুক্ত হলেন আরেক আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। মজা করে বললেন, আগুয়েরোর বয়স হয়েছে, ভিডিও গেম খেলার বয়স তাঁর নয়।
আগুয়েরোকে যা-ই বলেন না কেন, মেসি নিজেও ভিডিও গেমের পাঁড় ভক্ত।
বার্সেলোনায় তাঁর সতীর্থরা একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মেসিকে তাঁরা প্রায়ই প্লে স্টেশনে ফুটবল গেমে ফিফার সর্বশেষ সংস্করণ নিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। মেসি স্বয়ং তা স্বীকারও করেছেন।
এমনকি ভিডিও গেমেও তিনি মোটেই হারতে চান না বলে জানিয়েছেন। মেসির ভিডিও গেমপ্রীতি নিয়ে সাবেক তারকা ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা টিপ্পনী কাটতেও ছাড়েননি।
মাঠে প্রশিক্ষণ শেষে কখনো কখনো তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ভিডিও গেম খেলে কাটান মেসি। আনন্দ পাওয়া একটা কারণ তো বটেই। তবে মাঠে যা শিখলেন, তা-ই ভিডিও গেমে প্রয়োগ করে দেখেন। কখনো কখনো নাম গোপন রেখে অন্য গেমারদের সঙ্গে অনলাইনে নাকি আলোচনাও সারেন।
শুধু আর্জেন্টিনা কেন, মূল খেলার বাইরে ব্রাজিলের ফরওয়ার্ড নেইমার জুনিয়রের পছন্দের কাজ ভিডিও গেমে ফুটবল খেলা। তিনি খেলেন প্রো ইভল্যুশন সকার। এর বাইরে খেলেন গ্র্যান্ড থেফট অটো, কল অব ডিউটি, দ্য কিং অব ফাইটারস এবং কিছু বাস্কেটবল গেম।
মেসির বার্সেলোনা সতীর্থ আতোয়াঁ গ্রিজমান ভিডিও গেম খেলেন মনোযোগ ঠিক করতে। তা তিনি শিখেছেন সাবেক ইতালীয় তারকা ফুটবলার আন্দ্রেয়া পিরলোর কাছ থেকে। খেলায় হারের পর মানসিক চাপ কমাতে ফিফা ১৯ খেলতে দেখা গেছে দুই ইংলিশ ফুটবলার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ মার্কাস রাশফোর্ড ও জেসে লিনগার্ডকে।