তাঁরা যেন ওত পেতেই থাকেন। দোকানে কবে আসবে নতুন আইফোন। আর অমনি এনে বসে যান যন্ত্রপাতি নিয়ে। আইফোনে খুলে দেখান ভেতরে কী কী আছে। কোন যন্ত্রাংশ বদলে কী জুড়ে দেওয়া হলো। বলেছিল ফাইভ-জি মডেম দেবে, দিয়েছে তো? ইত্যাদি, ইত্যাদি।
আইফিক্সইটের কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রতিষ্ঠাতাদের একজন কাইল উইনস। অ্যাপল আইবুক জিথ্রি মডেলের ল্যাপটপ মেরামতের কোনো নির্দেশিকা খুঁজে না পেয়ে লিউক সোলসের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন আইফিক্সইট। কোনো পণ্য ব্যবহারকারী নিজেই যেন মেরামত করতে পারেন—এমনটা চান তাঁরা। আর সে উদ্দেশ্যেই আইফোনসহ নানা গ্যাজেট কীভাবে খুলতে হয়, তা দেখিয়ে মেরামতের উপায় বাতলে দেন। এবার দেখালেন নতুন দুটি আইফোন। আইফোন ১২ ও ১২ প্রো।
দুটি আইফোনের দামে বেশ তারতম্য থাকলেও ভেতরটা দেখতে কাছাকাছি। তবে আইফোন ১২ প্রোর টেলিফটো ও লাইডার সেন্সরের জায়গায় আইফোনে ১২ স্মার্টফোনে প্লাস্টিক জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ফোন দুটির ব্যাটারির আকার একই।
গত বছরের আইফোন ১১ সিরিজের চেয়ে এবারের স্মার্টফোনগুলোর লজিক বোর্ড বেশ বড়। মূল কারণ সম্ভবত ফাইভ-জি প্রযুক্তির সংযুক্তি। সে কারণেই হয়তো ব্যাটারি কিছুটা ছোট করতে হয়েছে।
এবারের আইফোনগুলোতে ম্যাগসেফ নামের তারহীন চার্জ করার প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে। এই চার্জার আইফোনে যুক্ত হয় চুম্বকের সাহায্যে। ছবিতে তার প্রমাণ আছে দেখুন।