ই-স্কিনে সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকেরা
মানুষের ত্বকের মতোই শক্তিশালী, স্থিতিস্থাপক ও স্পর্শকাতর একধরনের উপাদান তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এ উপাদান রিয়েল টাইমে জৈবিক তথ্য সরবরাহ করতে পারে। একে তাঁরা বলছেন ইলেকট্রনিক স্কিন বা ই-স্কিন। ভারতের এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক ইচেন কাই বলেন, ই-স্কিন পরবর্তী প্রজন্মের কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি, ব্যক্তিগত ওষুধ, নমনীয় রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে।
ইচেন কাই বলেন, আদর্শ ই-স্কিন মূলত মানবত্বকের অনেক প্রাকৃতিক কার্যক্রম নকল করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে স্পর্শ ও তাপমাত্রার অনুভূতি রিয়েল টাইমে নিখুঁতভাবে জানার মতো সুবিধাও।
গবেষক কাই বলেন, স্কিন ইলেকট্রনিকসের ক্ষেত্র দ্রুতগতিতে পরিবর্তন হচ্ছে। এ ক্ষেত্র টুডি সেন্সর টেকসই কৃত্রিম ত্বক তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
গবেষক কাই ও তাঁর সহকর্মী জিই শেন মিলে হাইড্রোজেল ব্যবহার করে টেকসই ই-স্কিন তৈরি করেছেন। এতে সিলিকা ন্যানোপার্টিকেল ও টুডি টাইটানিয়াম কার্বাইড এমএক্সইন সেন্সিং লেয়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো উচ্চ পরিবাহী ন্যানোওয়্যার নিয়ে আটকানো হয়েছে।
গবেষক শেন বলেন, হাইড্রোজেলের ৭০ শতাংশ পানি, যা মানবত্বকের সঙ্গে সহজে মিশতে পারে।
এই ই-স্কিন ২০ সেন্টিমিটার দূর থেকে কোনো বস্তুর অনুভূতি ধরতে পারে এবং এক সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগ সময়ে উদ্দীপনার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
গবেষকেরা বলছেন, তাঁদের তৈরি ই-স্কিন নানা ধরনের জৈবিক তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে রক্তচাপ পরীক্ষার মতো সুবিধাও। ই-স্কিন লাগানোর পর তথ্য শেয়ার করে তা ওয়াই-ফাই থেকে ক্লাউডে রাখা যায়।
গবেষক কাই বলেছেন, ‘জৈবিক তথ্য নিয়ে কাজের বাইরেও আমরা এ প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করছি। নমনীয় সেন্সর টেপ একদিন আসবাবপত্র এবং বিমানের মতো নির্জীব বস্তুর কাঠামোগত স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখতে পারে।’