করোনা মহামারির সময়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। ছেড়ে দিয়েছেন ধরাবাঁধা অফিসের চাকরি। এর প্রভাব পড়েছে সবখানেই। অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজ পাওয়ার ওয়েবসাইট (অনলাইন মার্কেটপ্লেস) আপওয়ার্ক বলছে, চাকরি ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় মনোযোগ দেওয়ার কারণে স্বাধীন দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের ঘরে বসে কাজের জন্য নিয়োগ দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি দক্ষতার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। প্রযুক্তি, বিপণন ও গ্রাহক সেবা খাতে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন ১০টি দক্ষতার তালিকা তৈরি করেছে আপওয়ার্ক।
আপওয়ার্ক বলছে, ‘আমরা এখনো কর্মীদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার বড় ধরনের প্রবণতার মধ্যে রয়েছি। দক্ষ কর্মীদের চাকরি ছাড়ার পেছনে রয়েছে চাপ, নিজের কর্মক্ষমতার অতিরিক্ত কাজ করিয়ে নেওয়া ছাড়াও নানা কারণ। এখন দ্রুত দক্ষ কর্মীদের স্থান পূরণে অনেক প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সারদের দিকে হাত বাড়াচ্ছে।’
গত বছর মার্কিন কর্মশক্তির ৩৬ শতাংশ ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে বিবেচনা করেছে। আপওয়ার্কের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম ওজিমেক বলেন, সাময়িক ফ্রিল্যান্সারদের বদলে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেড়েছে।
আপওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর প্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন ১০টি দক্ষতার শীর্ষে রয়েছে ওয়েব ডিজাইন। এ ছাড়া অন্য দক্ষতাগুলো হলো ওয়ার্ডপ্রেস, ওয়েব প্রোগ্রামিং, জাভাস্ক্রিপ্ট, সিএসএস, এইচটিএমএল, পিএইচপি, শপিফাই, এপিআই ও গ্রাফিকস ডিজাইন।
বিপণনের ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০টি দক্ষতা হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, লিড জেনারেশন, ফেসবুক, এসইও, বিটুবি মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম, মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ই-মেইল মার্কেটিং ও মার্কেট রিসার্চ।
গ্রাহকসেবা দক্ষতার ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে কাস্টমার সার্ভিস, কাস্টমার সাপোর্ট, ই-মেইল কমিউনিকেশন, ফোন সাপোর্ট, ই-মেইল সাপোর্ট, কমিউনিকেশন এটিকুয়েট, অনলাইন চ্যাট সাপোর্ট, পণ্যসম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, ডেটা এন্ট্রি ও অ্যাডমিন সাপোর্ট।
আপওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রিল্যান্সিংয়ে ওয়েব প্রোগ্রামিংয়ের চাহিদা গত বছরের হিসাবে ৪৩ শতাংশ, ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ৩১ শতাংশ ও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের চাহিদা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এসব ক্ষেত্রে যাঁরা দক্ষতা অর্জন করবেন, তাঁরা এ বছর মুক্ত পেশাজীবী হিসেবে এগিয়ে থাকবেন, তা বলাই যায়।