মাদ্রাসার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্য সংশোধনের নির্দেশ

দেশের তিনটি সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাদ্রাসার মেধা-সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্য সংশোধনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ও অ্যাকাউন্ট বাউন্সব্যাক হওয়া শিক্ষার্থীদের টাকা গভর্নমেন্ট টু পারসন (জিটুপি) পদ্ধতির ইলেকট্রনিকস ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) পাঠানোর জন্য তথ্য সংশোধন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন শিক্ষার্থীদের তথ্য ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) হালনাগাদ করতে হবে। এমন নির্দেশনা জানিয়ে সব মাদ্রাসার প্রধানকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এসব তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাজস্ব খাতভুক্ত সব ধরনের বৃত্তির টাকা গভর্নমেন্ট টু পারসন (জিটুপি) পদ্ধতিতে অনলাইনে ইলেকট্রনিকস ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু কিছু মাদ্রাসার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর তথ্য এখনো এন্ট্রি করা হয়নি এবং কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠানো তথ্য ব্যাংক হিসাব নম্বর ও শাখার নাম, পরীক্ষার খ্রিষ্টাব্দসহ বিভিন্ন ধরনের ভুল রযেছে। এ ছাড়া কিছু শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, রাউটিং নম্বরসহ ব্যাংকসংক্রান্ত কিছু তথ্য যথাযথ না থাকায় ইএফটি বাউন্সব্যাক হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা বাউন্সব্যাক বা রির্টান হয়েছে, তাদের আবার টাকা পাঠানো জন্য সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর-প্রাসঙ্গিক তথ্য সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

এমআইএস সফটওয়ারে এন্ট্রির ক্ষেত্রে যা যা অনুসরণ করতে হবে

১. বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে অধ্যয়নরত, তা নিশ্চিত হয়ে তথ্য এন্ট্রি করা;

২. পাঠবিরতি রয়েছে—এরূপ শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি না দেওয়া;

৩. বাংলাদেশের অনলাইন–সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে;

৪. শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে;

৫. অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১৩ থেকে ১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে;

৬. শিক্ষার্থীর পরীক্ষার আইডি/রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম ও সাল সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে;

৭. বৃত্তির ক্যাটাগরি (মেধা ও সাধারণ) সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে;

৮. ব্যাংক, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর এবং শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে;

আরও পড়ুন

৯. তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন;

১০. তথ্য এন্ট্রি দেওয়ার শেষ সময় ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ বিকেল ৫টা পর্যন্ত;

১১. যেসব শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে বৃত্তি পেয়ে মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত এবং স্কুল–কলেজ থেকে বৃত্তি পেয়ে মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত, শুধু ওই সব শিক্ষার্থী dme.finance.gov.bd লিংকে আবেদন করবে;

১২. যেসব শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হয়েছে, তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্ধারিত লিংকে আবেদন করবে।

মাদ্রাসার প্রধান অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে উল্লিখিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অর্থ দ্রুত প্রেরণের সুবিধার্থে বর্ণিত তথ্যগুলো ১৩ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে এমআইএস অনলাইন সফটওয়্যার dme.finance.gov.bd লিংকে প্রবেশ করে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি ও ভুল সংশোধনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুন