এনএসটি ফেলোশিপ, আবেদন করুন দ্রুত

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপের জন্য আবেদন চরছে। আবেদন করতে হবে অনলাইনে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/অনুমোদিত স্নাতকোত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইনস্টিটিউটে ভৌত বিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল/জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান/খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞানের আওতাভুক্ত বিষয়ের এমএস/এমএসসি, এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নরত/গবেষণারত ছাত্রছাত্রী/ গবেষকেরা আবেদন করতে পারবেন এই ফেলোশিপে।

আবেদনের শর্তগুলো হলো—

১.

আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট নীতিমালায় উল্লিখিত শর্ত ও নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে অনুসরণ করতে হবে।

২.

অনলাইনে আবেদন করার আগে ওপরের লিংকের ওয়েব পেজ থেকে প্রথমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মে(আইডিএসডিপি) নিবন্ধিত হতে হবে। নিবন্ধিত হওয়ার পর জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরম পূরণ করার সময় আবেদনকারীর সাম্প্রতিক সময়ে তোলা ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপিসহ সব তথ্য/দলিলাদি সংযুক্ত/আপলোড করতে হবে।

আরও পড়ুন

৩.

৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন সাবমিটের জন্য লিংক ওপেন থাকবে।

৪.

একজন আবেদনকারী যেকোনো ১টি গ্রুপে কেবল ১টি আবেদন করতে পারবেন।

৫.

পূর্ণকালীন ছাত্রত্ব না থাকলে (এমএস/এমএসসি, এমফিল ও পিএইচডি যে পর্যায়েরই হোক) আবেদনের যোগ্য হবেন না। খণ্ডকালীন বা সান্ধ্যকালীন ছাত্রত্ব গ্রহণযোগ্য হবে না। এমএস/এমএসসি পর্যায়ে নবায়নের কোনো সুযোগ নেই।

৬.

চাকরিজীবীরা কেবল এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। অফিসের অনুমতি না নিয়ে ভর্তি হয়ে থাকলে তিনি আবেদনের যোগ্য হবেন না।

৭.

‘অন্য কোনো সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষা/গবেষণার জন্য কোনো প্রকার ফেলোশিপ/অনুদান গ্রহণ করেন না’ মর্মে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ঘোষণাসহ নির্ধারিত বাক্যসংবলিত অঙ্গীকারনামা স্ক্যান কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত/আপলোড করতে হবে। অঙ্গীকারনামার নমুনা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন

৮.

এমএস/এমএসসি কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ন্যূনতম ৪ দশমিক ৫ (স্কেল-৫)/প্রথম বিভাগ এবং স্নাতক পর্যায়ে জিপিএ ন্যূনতম ৩ দশমিক ৪ (স্কেল-৪)/৪.২৫ (স্কেল-৫)/প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখে বয়স অনূর্ধ্ব ৩০ বছর হতে হবে।

৯.

এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ন্যূনতম ৪ দশমিক ৫ (স্কেল-৫)/প্রথম বিভাগ এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ন্যূনতম ৩.২ (স্কেল-৪)/৪.০ (স্কেল-৫)/প্রথম শ্রেণি থাকতে হবে। এমফিল পর্যায়ে আবেদনের শেষ তারিখে বয়স অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর এবং পিএইচডি পর্যায়ে আবেদনের শেষ তারিখে বয়স অনূর্ধ্ব ৪৫ বছর।

আরও পড়ুন

১০.

প্রাপ্ত আবেদনপত্র প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর তালিকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। যথাসময়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারিখ ও স্থান জানিয়ে মৌখিক পরীক্ষা আহ্বান করা হবে।

সাক্ষাৎকারে ডাক পেলে যা করতে হবে—
১.

এমএস/এমএসসি পর্যায়ের আবেদনকারীদের এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পাশের মূল সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।

২.

এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের আবেদনকারীদের এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশের মূল সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।

সাক্ষাৎকার বোর্ডে যা জমা দিতে হবে—

ক. অনলাইনে দাখিলকৃত আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি।

খ. ‘অন্য কোনো সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা/গবেষণার জন্য কোনো প্রকার ফেলোশিপ/অনুদান গ্রহণ করেন না’ মর্মে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ঘোষণাসহ নির্ধারিত বাক্যসংবলিত অঙ্গীকারনামার মূল কপি জমা দেবেন।

গ. এমএস/এমএসসি, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নতুন আবেদনকারীরা ৩ পাতার গবেষণা সিনোপসিসের ৪ কপি জমা দেবেন। ফেলোশিপ নবায়নের আবেদনকারীরা ৪  পাতার মধ্যে সীমিত গবেষণাকর্মের অগ্রগতি প্রতিবেদনের ৪ কপি জমা দেবেন।

ঘ. এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ের আবেদনকারীরা তাঁদের ভর্তির কনফার্মেশনপত্র জমা দেবেন।

ঙ. চাকরিজীবীরা তাঁদের ছুটির প্রমাণক জমা দেবেন।

আরও পড়ুন