নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন সহজ করতে আলোচনা চলছে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী মূল্যায়নের বিষয়টি অভিভাবকদের কাছে সহজ করার জন্য আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। প্রতিবছরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তবে নতুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী পূর্বঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে যাননি।
শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন, পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর একধরনের হয়রানিমূলক পরিস্থিতি, মানসিক যন্ত্রণা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। অবশ্য পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আজ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিখন ফল অর্জিত হয়েছে কি না, সেটি দেখার জন্য মূল্যায়ন করা হয়। মূল্যায়নের একটি পদ্ধতি হলো পরীক্ষা। অতীতে ও এখনো দেখা যাচ্ছে, যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তাতে যথার্থভাবে জানা যাচ্ছে না শিক্ষার্থীর শিখন ফল অর্জন হয়েছে কি না।
পরীক্ষার ফল ভালো, কিন্তু শিখন ফলের জায়গায় ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে বলে জানান মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পাচ্ছে, কিন্তু তার নানা বিষয়ে যে কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনের কথা ছিল, সেটি হচ্ছে না। তাই মূল্যায়ন (নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী) পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময় পর জ্ঞানের যাচাই (এত দিন ধরে চলা পরীক্ষার পদ্ধতি) করার পাশাপাশি বছরের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষকেরা মূল্যায়ন করতে পারবেন শিক্ষার্থী দক্ষতা অর্জন করতে পারছে কি না। এর পাশাপাশি আগের মতো কিছু পদ্ধতিও থাকবে। এটি একটি মিশ্র পদ্ধতি।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, অভিভাবকেরা যাতে বুঝতে পারেন তার সন্তান দক্ষতা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছে—সেই বোঝার জায়গাটি সহজ করা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
এর আগে নতুন মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছিলেন, প্রয়োজন সাপেক্ষে নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হয়েছে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে তা চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।