প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের জানো প্রকল্পের লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালা
রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘জয়েন্ট অ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো)’ প্রকল্পের জাতীয় পর্যায়ের লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ও অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের সহায়তায় কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) পাঁচ বছর ধরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস বলেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ওই প্রকল্পের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণের বিষয়টি জেন্ডার সমতার দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করেছে। একটি মেয়েশিশু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমাজে যেসব বৈষম্যের শিকার হয়, তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুরু থেকেই জেন্ডার বৈষম্য রোধ করার মাধ্যমে তাদের উন্নয়নের মূল ধারায় আনতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক এ কিউ এম শফিউল আজম বলেন, সৃজনশীল উপায়ে জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ইনফ্লুয়েন্সিং অ্যান্ড ক্যাম্পেইন ডিরেক্টর নিশাত সুলতানা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য মো. মশিউজ্জামান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মার্গেরিটা ক্যাপালবি, ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক শহীদ উজ জামান ও কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর শামীম জাহান।
‘জানো’ প্রকল্পটি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী মা এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নের জন্য রংপুর ও নীলফামারী জেলার সাত উপজেলায় কাজ করছে। এই প্রকল্প মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের প্রায় ২২টি দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি সহায়ক প্রকল্প হিসেবে কাজ করে আসছে।