ষষ্ঠ–সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়নে মানতে হবে নতুন শিক্ষাক্রমের নির্দেশিকা
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির অর্ধবার্ষিকী (ষাণ্মাসিক) মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সোমবার মাউশির পক্ষ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের কাছে ওই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মাউশির ওয়েবসাইটেও নির্দেশনাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে।
গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে তা চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।
মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল উপজেলার কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির অর্ধবার্ষিকী মূল্যায়নের পরিবর্তে গতানুগতিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজন করা হয়। বিষয়টি মাউশির নজরে আসায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে তা বন্ধ করা হয়।
নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ও মূল্যায়নের সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও তা লঙ্ঘন করে এমন অনভিপ্রেত কাজ করার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও নির্দেশনায় জানিয়েছে মাউশি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির অর্ধবার্ষিকী মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।