বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যবহারিক ক্লাস-পরীক্ষারও অনুমতি পেল

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)

বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে এই সিদ্ধান্ত কেবল স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর স্তরের সর্বশেষ সেমিস্টারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

আজ সোমবার এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে ইউজিসি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রলম্বিত হওয়ায় ব্যবহারিক ক্লাস, পরীক্ষা এবং মূল্যায়নের কীভাবে সম্পন্ন করা হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি। এর আগে গত মে মাসে কেবল ক্লাস-পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তখন বলা হয়েছিল ল্যাবরেটরিভিত্তিক সব কোর্সের ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর অতিরিক্ত সময় দিয়ে সরাসরি শ্রেণিকক্ষে সম্পন্ন করতে হবে।

বর্তমানে সারা দেশে ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য কয়েকটি এখনো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেনি।

নতুন আদেশে যেসব শর্তে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া যাবে তা বলে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, এক দিনে একটি প্রোগ্রামের একটির বেশি ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না। এ জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। প্রতি ক্লাসে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।

ক্লাস ও পরীক্ষার হলে প্রতি শিক্ষার্থীর মাঝে দূরত্ব থাকতে হবে ন্যূনতম ছয় ফুট।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও এই দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ক্লাস ও পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে ক্যাম্পাসে আসা ও শেষ হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে। কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বা কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ বিষয়ে ইউজিসি কোনো দায়ভার নেবে না।

এ ছাড়া মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্ট, কেস স্টাডি, ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশন, কুইজ টেস্ট ইত্যাদির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কোর্সের মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে করতে হবে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি আছে। এরপর স্কুল–কলেজ সীমিত পরিসরে খোলার চিন্তা করছে সরকার।