স্নাতক ভর্তিতে অর্থসহায়তা পেতে আবেদনের সময় বাড়ল
স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে আর্থিক সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ভর্তিসহায়তা পেতে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। স্নাতক ভর্তিসহায়তার আবেদন সময় বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়ে সব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও সমমানের (অনার্স ও পাস কোর্স) পর্যায়ে ভর্তিতে সহায়তা পেতে গত ৭ আগস্ট থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের আবেদনের শেষ সময় ছিল ৭ সেপ্টেম্বর।
সেসব কাগজপত্র লাগবে
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক ওযেসবাইটের ভর্তিসহায়তা সেবা বক্সে আপলোডকৃত নির্ধারিত ফর্ম ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে শিক্ষার্থী বর্তমানে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিকৃত, সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/বিভাগীয় প্রধানের নিকট থেকে সুপারিশ গ্রহণ করে আবেদন করতে হবে।
প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কর্মে নিয়োজিত সব সরকারি/আধাসরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ‘জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫’ অনুযায়ী ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের সব কর্মচারীর সন্তানকে আবেদনপত্রের সঙ্গে অফিসপ্রধান কর্তৃক প্রদত্ত মা–বাবা অথবা অভিভাবকের বেতনের গ্রেডসংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/বিভাগীয় প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষার্থীর মা–বাবা অথবা অভিভাবকের বাৎসরিক আয় দুই লাখ টাকার কম মর্মে প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান, নদীভাঙন পরিবারের সন্তান, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানরা ভর্তিসহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রাপ্তির স্বপক্ষে প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
শিক্ষার্থী সর্বশেষ যে শ্রেণি বা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তার সত্যায়িত নম্বরপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ই-ভর্তিসহায়তার ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করতে পারেন, যা পাওয়া যাবে শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে।