মাদ্রাসার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা জারি, চাকরি দুই বছর হলেই বদলির সুযোগ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া বেসরকারি মাদ্রাসায় কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে বদলির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল রোববার (২২ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনে বদলির জন্য কিছু শর্ত আছে। পাশাপাশি বদলি নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া কীভাবে, তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। নীতিমালা জারির দিন থেকে এটি কার্যকর হবে।
বদলির সাধারণ শর্তগুলো হলো-
এনটিআরসিএর সুপারিশে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর চাকরির সময়কাল দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করার যোগ্য হবেন একজন শিক্ষক। দুই বছর না হলে তিনি বদলির আবেদন করতে পারবেন না। কর্মজীবনে দুবারের বেশিও বদলি নিতে পারবেন না। তা ছাড়া প্রথমবার বদলির পর কমপক্ষে দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে একজন শিক্ষিকা কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলির সুযোগ পাবেন। সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলির সম্পূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে, যাতে কোনো তদবির–বাণিজ্য না হয়।
বদলির কার্যক্রম শুরু কবে-
নীতিমালার তথ্যানুযায়ী, বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শূন্য পদের চাহিদা বা বিবরণ অনলাইনে প্রকাশ করবে। প্রকাশিত শূন্য পদের বিপরীতে মাদ্রাসা অধিদপ্তর বদলির আবেদন আহ্বান করবে।
সমপদে পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে বদলির জন্য ১ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষকেরা। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বদলির আদেশ জারি হবে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে শিক্ষককে।
জ্যেষ্ঠতা ও অগ্রাধিকার যেভাবে
বদলির ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা ঠিক করা হবে কীভাবে, তা নীতিমালায় বলা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, চাকরিতে প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে সিনিয়রিটি (জ্যেষ্ঠতা) গণনা করা হবে। আবার একটি শূন্য পদের জন্য একাধিক আবেদন পাওয়া গেলে জ্যেষ্ঠতা, নারী ও দূরত্ব বিবেচনায় বদলি অনুমোদন করা হবে। অর্থাৎ প্রথমে জ্যেষ্ঠতা দেখা যাবে, এরপর নারীদের অগ্রাধিকার। তারপর দূরত্বের (শিক্ষকের বাড়ি থেকে কর্মস্থল) বিষয়টি দেখা হবে।
অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্যসংবলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না। ইচ্ছাকৃত ভুল প্রমাণিত হলে শাস্তি আরোপ করা হবে। বদলির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর এনটিআরসিএ অবশিষ্ট শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করবে।
বদলির সব কাজ হবে সফটওয়্যারে
বদলির পুরো প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে সফটওয়্যার তৈরি ও অনলাইন আবেদনের ফরম্যাট নির্ধারণ করবে। বদলিকৃত শিক্ষকের ইনডেক্স আগের প্রতিষ্ঠান থেকে বদলিকৃত প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ট্রান্সফার হবে। বদলিকৃত শিক্ষকের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং জ্যেষ্ঠতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
**মাদ্রাসার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালার বিস্তারিত দেখুন এখানে