কর্মস্থলে অনুপস্থিত ২৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। পাঁচ দিনের মধ্যে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণ নিজ নিজ জেলা শিক্ষা অফিসে সশরীর উপস্থিত হয়ে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (০১ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ২৮ জনের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী।
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মাধ্যমিকের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা পূর্বঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করা প্রতিষ্ঠানে ওই ২৮ জন শিক্ষক–কর্মচারীকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্বঘোষণা ব্যতিরেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত পরিদর্শনের প্রতিবেদন (জানুয়ারি/ ২০২৪ মাসের) মাউশি অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে মাধ্যমিক উইংয়ে প্রেরণ করা হয়। ওই পরিদর্শন প্রতিবেদনে বিভিন্ন জেলার শিক্ষক/কর্মচারীদের বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। অননুমোদিতভাবে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে সুস্পষ্ট কারণ আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে নিজ নিজ জেলা শিক্ষা অফিসে সশরীর হাজির হয়ে দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
অভিযুক্তরা হলেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার সহকারী শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সহকারী শিক্ষক এরফানুল ইসলাম, কুমিল্লার চান্দিনার সহকারী শিক্ষক মো. আইউব আলী, বাগেরহাটের মোল্লারহাটের সেলিম মোল্লা, একই উপজেলার প্রধান শিক্ষক হাসিবা খাতুন, কুষ্টিয়া সদরের সহকারী শিক্ষক মো. শামসুল আরেফিন, ঝিনাইদহ সদরের সহকারী শিক্ষক মো. মোখলেছুর রহমান, ঝিনাইদহ সদরের সহকারী শিক্ষক মোছা. ডালিয়া খাতুন, নোয়াখালী সদরের সহকারী শিক্ষক মো. নুর উদ্দিন কিরণ, খাগড়াছড়ি সদরের সহকারী শিক্ষক ধনবী চাকমা, সহকারী শিক্ষক মেমরি চাকমা, সহকারী শিক্ষক মিথিলা চাকমা, সহকারী শিক্ষক মরিয়ম চাকমা, সহকারী শিক্ষক রমেশ চাকমা, সহকারী শিক্ষক শেখর চাকমা, সহকারী শিক্ষক টুম্পা রানী সাহা, সহকারী শিক্ষক অনুরূপা ত্রিপুরা, সহকারী শিক্ষক মাইনোচিং মারমা, গোপালগঞ্জ সদরের সহকারী শিক্ষক অনিমেশ মণ্ডল সুজন, নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সহকারী শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আমির হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সহকারী শিক্ষক মো. আতাউর রহমান, মাহবুব, হারুন-অর রশিদ, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবার কর্মচারী মো. সোহরাব হোসাইন, বরিশালের হিজলা উপজেলার কর্মচারী নাঈম হোসেন, আফজাল হোসেন।